ব্রাত্যর সভায় কী ব্রাত্যই থেকে গেলেন শিউলি!

ব্রাত্যর সভায় তাহলে কী ব্রাত্যই থেকে গেলেন তৃণমূল প্রার্থী তথা দণ্ডি কাণ্ডে অন্যতম নির্যাতিতা শিউলি মার্ডি?- এই প্রশ্নটা কিন্তু উঠে গেল দক্ষিণ দানা বাঁধল এক বিতর্কের।

আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের গোফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতে ধীরুহাজি মোড়ে ভোটের প্রচারে এসেছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এই নির্বাচনী সভায় উপস্থিত ছিলেন না শিউলি দেবী। এমনকি তাঁর নামে কোনও পোস্টারও নজরেও আসেনি সভাস্থলের আশপাশে। এদিকে স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, যে সময় মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বক্তব্য রাখলেন সেই সময় মাঠে গরু আনতে গিয়েছেন শিউলি দেবী। যদিও এ বিষয়ে ব্রাত্য বসু বলেন, ‘শিউলি দেবী কেন ছিলেন না, তা আমি বলতে পারছি না।’ ব্রাত্য এ নিয়ে জানার চেষ্টা করতে খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানান জেলা স্তরের নেতারাও। প্রসঙ্গত, গোফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের চকবলরাম সংসদ থেকে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন শিউলি মার্ডি।

বুধবার বিকেলে যে জায়গায় এই সভা হচ্ছিল সেখান থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের তিন মহিলাকে দণ্ডি কাটিয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার প্রায়শ্চিত্ত করানো হয় তাঁদের। যা নিয়ে ঝড় ওঠে গোটা রাজ্যে। এদিকে এদিন ব্রাত্য বসু আসার আগেই দণ্ডি কাণ্ড নিয়ে এদিন ফের তোপ দাগতে দেখা যায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। বুধবার দুপুরে বালুরঘাটের জেলা বিজেপি কার্যালয়ে বালুরঘাটের বিধায়ক অশোক লাহিড়ীকে সঙ্গে নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘ব্রাত্য বসু শিক্ষিত ও মননশীল মানুষ। আমি ওনাকে বলব, আদিবাসী মহিলাদের দিয়ে যারা দণ্ডি কাটিয়েছিল তাদের হয়ে ব্রাত্য বসু দুহাত দণ্ডি কেটে প্রায়শ্চিত্ত করুক।’ পাল্টা ব্রাত্য জানান , ‘দণ্ডি কাণ্ডের ঘটনাকে আমরা সমর্থন করি না। মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেতা প্রবেশ শুল্কা যে ঘটনা ঘটিয়েছেন, তা আরও ন্যক্কারজনক ঘটনা৷ তাই সুকান্ত বাবু আগে প্রবেশ শুল্কার হয়ে ক্ষমা চেয়ে দণ্ডি কাটুক, তারপর আমি না হয় তার পাশে গিয়ে দণ্ডি কাটব।’

তবে কেন সভা. এলেন না এই প্রসঙ্গে শিউলি দেবী জানান, ‘মন্ত্রী সভা করতে আসবে আমি জানতাম। প্রচারে বেরিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে গিয়েছিলাম। তাই আর যাওয়া হয়নি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × two =