আরজি কর কাণ্ডে নিজে থেকেই ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল, সোমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু এই মুহূর্তে ওই পদে নতুন কাউকে আনার কথা তিনি ভাবছেন না বলেও সোমবার নবান্ন থেকে বার্তা দিতে দেখা যায় তাঁকে।
সোমবার নবান্নের সভাঘর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কলকাতার পুলিশ কমিশনার আমার কাছে অনেকবার এসেছেন পদত্যাগ করার জন্য। সামনে পুজো। আপনারাই আমাকে বলুন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে যে মানুষটার উপর দেব তাঁকে তো জানতে হবে কোন পাড়ায় কী পুজো, সেখানে কী থিম, কোথায় কত পুলিশ পোস্টিং রয়েছে? এটা পুজোর সময়। কিছুদিন ধৈর্য ধরলে কি মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে?’
এদিকে আরজি করের ঘটনায় কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বারংবার প্রশ্ন তুলেছেন আন্দোলনকারীরা। গত ১৪ অগাস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে তাণ্ডব চালায় কিছু দুষ্কৃতী। অভিযোগ ওঠে, হামলা ঠেকাতে পুলিশ উপযুক্ত পদক্ষেপ করেনি। এরপরেই কলকাতার পুলিশ কমিশনার পদ থেকে বিনীত গোয়েলের ইস্তফার দাবি আরও জোরাল হয়। এমনকী, জুনিয়র চিকিৎসকদের লালবাজার অভিযানের অন্যতম দাবি ছিল কলকাতার পুলিশ কমিশনারের ইস্তফা। কিন্তু, এখনই পুলিশ কমিশনারকে সরানোর বিষয়ে তিনি ভাবছেন না, তা জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পাশাপাশি পুলিশকে বারংবার কাঠগোড়ায় তোলা নিয়েও এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করতেও দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বলেন, ‘ প্রতিবাদ মিছিল করতে পুলিশের অনুমতি নেওয়া হচ্ছে না। কেউ কেউ উপর তলা থেকে অনুমতি আদায় করে নিচ্ছে। বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদছে। পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করবে না? ভাগ্যিস এই ক’দিন পুলিশ সামলেছে। মার খেয়েছে। নিজেদের রক্ত দিয়েছে। কিন্তু কারও রক্ত নেয়নি।’ মমতার সংযোজন, ‘পুলিশও মানুষ। তাঁদেরও সংসার রয়েছে। যাকে পাচ্ছে তাকে নিয়ে বলে যাচ্ছে কিছু মানুষ।’