শনিবারে কালীঘাটের বাড়িতে বৈঠক নিয়ে চলল দু পক্ষের স্নায়ুযুদ্ধ। রাজ্য সরকারের তরফে না লাইভ স্ক্রিনিং, না ভিডিয়োগ্রাফি কোনওটিই সম্ভব নয় বলে জানানো হয় আন্দোলনকারীদের।এদিকে, স্বচ্ছতার দাবিতে অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরাও। ফলে নবান্নের পর কালীঘাটের বৈঠকেও জট অব্যাহত।
আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের সংগঠনের তরফ থেকে জানানো হয়, ‘আমরা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকার সময় প্রথমে আমাদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন মুখ্য সচিব। আমরা ওঁদের বলি যে লাইভ স্ট্রিমিং চাইছি। তবে আমাদের জানানো হয় যেহেতু এটা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি তাই লাইভ স্ট্রিমিং সম্ভব নয়। ওঁদের বলি কনসিডার করতে। ওঁরা তাতেও রাজি নয়। আমরা নিজেদের ভিডিয়ো গ্রাফার নিয়ে যাই যাতে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করতে পারি। ওঁরা আবারও দফায়-দফায় আলোচনা করে জানান সেটাও সম্ভব নয়। এই রকম জায়গায় গিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের তরফ থেকে প্রশ্ন করা হয় কেন ভিডিয়োগ্রাফারকে অনুমতি দেওয়া যাবে না তা নিয়ে। এরপরই জানানো হয়, যেহেতু এটা হাই সিকিওরিটি জ়োন তাই ভিডিয়ো করা যাবে না। এরপর আমরা বলি যে ওঁদের ভিডিয়োগ্রাফির কপি চাই। নম্রভাবে আমরা চাই। কিন্তু এরপরও টালবাহানা চলতে থাকে।
এদিকে, আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির বাইরে বেরিয়ে এসে কথা বলেন আন্দোনকারীদের সঙ্গে। তাঁদের অনুরোধ করেন বৃষ্টিতে না ভিজতে। এমনকী তাঁদের চায়ের আমন্ত্রণও জানান তিনি। তবে এত সব কিছুর পরও লাইভ স্ট্রিমিং সহ সব দাবিই নস্যাৎ করেন মমতা।