যোগেশচন্দ্র কলেজেও সামনে এল ‘থ্রেট কালচার’ তত্ত্ব

স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে দুর্নীতির ‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগ আগেই উঠেছিল। যার বিরুদ্ধে লড়ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এবার শিক্ষাক্ষেত্রেও সামনে এল ‘থ্রেট কালচার’-তত্ত্ব। যোগেশচন্দ্র কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ খোদ অধ্যক্ষ, এমনটাই অভিযোগ শাসকদলের ছাত্র নেতাদের বিরুদ্ধে। বহিরাগত তৃণমূল নেতার ‘দাদাগিরি’-র অভিযোগ উঠেছে সেই সঙ্গে।পাশাপাশি এও জানা যাচ্ছে, তৃণমূলের পতাকা-ব্যানার দিয়ে কলেজের সিসিটিভিগুলিকে ঢেকে ফেলা হচ্ছে, বলে দাবি করেছেন অধ্যক্ষ।

এখানেই শেষ নয়, একাধিক পড়ুয়ার বিরুদ্ধে উঠেছে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগও। সেই অভিযোগ দায়ের হয়েছে ইউজিসি-তে। এই অভিযোগ পেতেই ইউজিসিকে চিঠি পাঠিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষকে। পাশাপাশি কলেজে পুলিশি পাহারা চেয়ে চিঠি লালবাজারকে চিঠি দিয়েছেন অধ্যক্ষ। ইতিমধ্যেই চারু মার্কেট থানার পুলিশ কলেজে পৌঁছেছে।বসানো হয়েছে পুলিশি প্রহরা। অধ্যক্ষের পাশাপাশি থ্রেট কালচার নিয়ে সরব হয়েছে এসএফআই। যদিও, সমস্ত অভিযোগ উড়িয়েছে টিএমসিপি।

যোগেশচন্দ্র কলেজ অধ্যক্ষ পঙ্কজ রায় বলেন,  ‘শুভম মণ্ডল নামে একটি বহিরাগত ছেলে আমায় বলছে আপনাকে কে অনুমতি দিয়েছে সিসিটিভি লাগানোর? তার কেটে দেওয়া হয়েছে। আমি তার নামে এফআইআর লজ করছি। তিন-বছর, চার বছর আগে রিয়া দেবনাথ পাশ করে গিয়েছে সে এখানকার তোলাবাজের রানি। এমনকী, একজন অভিভাবক ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেছেন এই কলেজে ছাত্র ভর্তি করবেন না। কারণ এখানে লুম্পেন তৈরি হয়। ইউনিয়ন লুম্পেন তৈরি করে। আমি দেখতে চাই নবান্ন ব্যবস্থা নেয় কি না। যে অভিযোগ ইউজিসি-র কাছে করা হয়েছে তাতে আরজি করের রেফারেন্স দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে ‘ইট মে বি আরজি কর ইন ফিউচার’ অর্থাৎ ভবিষ্যতে এটি আরজি কর হতে পারে। রাত্রি আটটা পর্যন্ত কেউ থাকে না। অন্ধকার। অথচ খোলা থাকে ইউনিয়ন রুমের।বহিরাগতদের অবাধ যাতায়াত।এর দায়িত্ব কে নেবে? অধ্যক্ষের নয়। আমার কাছে খবর আছে এখানে সিন্ডিকেটের মিটিং হয় ইউনিয়ন রুমে।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × five =