পুজোর প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করল রেলও। প্রতি বছর বিভিন্ন জেলা থেকে বহু মানুষকে কলকাতায় প্রতিমা দর্শন করতে যান। তাই লোকাল ট্রেনগুলিতে ভিড় থাকে চোখে পড়ার মতো। তাই সাধারণ মানুষ তথা রেলযাত্রীদের কথা মাথায় রেখে বেশ কিছু উদ্যোগ নিল পূর্ব রেল। শিয়ালদহ ডিভিশনে যাত্রীদের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে একগুচ্ছ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে পূর্ব রেলের তরফ থেকে। শিয়ালদহে এই বিষয়ে একটি জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেখানেই বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই সিদ্ধান্তগুলির মধ্যে রয়েছে,
যাত্রীদের সাহায্যের জন্য ‘মে আই হেল্প ইউ’ বুথ খোলা হবে শিয়ালদহ, কলকাতা ও দমদম জংশনের মতো ব্যস্ত স্টেশনগুলিতে। থানা, হাসপাতাল, ফায়ার ব্রিগেড সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গার ফোন নম্বর বুথগুলিত রাখা থাকবে।
বারাসত, খড়দা, বালিগঞ্জ, ব্যারাকপুর, বনগাঁর মতো একাধিক জায়গায় মোতায়েন হবে আরপিএফ। ২৪টি দুর্বল লেভেল ক্রসিং চিহ্নিত করে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়ন করার কথা ভাবা হয়েছে।
অতিরিক্ত ৫ টি টিকিট কাউন্টার খোলা হবে। শিয়ালদহ মেইন লাইনে ৪টি ও শিয়ালদহ দক্ষিণে ১টি কাউন্টার খোলা হবে। সেই কাউন্টারগুলি খোলার জন্য অতিরিক্ত বুকিং ক্লার্কও মোতায়েন করা হবে।
শিয়ালদহ, বিধাননগর, দমদম, নৈহাটি, বালিগঞ্জ, সোনারপুর, কলকাতা, কাঁচরাপাড়া, ব্যারাকপুর, মাঝেরহাট, কৃষ্ণনগরের মতো স্টেশনে ট্রেন ইন্ডিকেশন বোর্ড ও প্যাসেঞ্জার অ্যাড্রেস ব্যবস্থা বিশেষভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
সব স্টেশনে ২৪ ঘণ্টা মিলবে পানীয় জল, থাকবে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র।
রাজ্য প্রশাসনের পরামর্শ অনুসারে বিসর্জনের সময় সার্কুলার রেলওয়েতে ট্রেন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনে জেনারেল কোচ বাড়ানো হবে। মহিলা, শিশু এবং প্রবীণ নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
বিকেল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সিনিয়র স্কাউটস, সেন্ট জনস অ্যাম্বুলেন্স এবং সিভিল ডিফেন্স কর্মীদের নিয়োগ করা হবে। যাত্রীদের দিক নির্দেশ পেতে কোনও অসুবিধা হবে না।
শিয়ালদহ, দমদম, নৈহাটি, বারাসতের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলিতে চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকবে। অসুস্থ যাত্রীদের যত্ন নেওয়ার জন্য ডাক্তার এবং প্যারামেডিক্যাল স্টাফ উপস্থিত থাকবে। অন্যান্য অনেক স্টেশনেও ফার্স্ট এইড বক্স, স্বাস্থ্য ইউনিট এবং প্যারামেডিক্যাল স্টাফ থাকবে।
এছাড়াও রেললাইনের ধারের প্যান্ডেলে আরপিএফ মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি গ্যালোপিং ট্রেনগুলি সব স্টেশনে থামবে বলে জানানো হয়েছে।