আর জি কর কাণ্ড নিয়ে শর্ট ফিল্ম! প্রান্তিক পরিচালিত ওই ছবি মুক্তি পাওয়ার কথা আগামী ২ সেপ্টেম্বর। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে সেই শর্ট ফিল্মের পোস্টার। আর সেই ছবি মুক্তির আগেই শুক্রবার সাসপেন্ড করা হয় রাজন্যা ও প্রান্তিককে। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে সিনেমা ভুল বার্তা তৈরি করছে বলে মত তৃণমূলের অন্দরে। তাই দু’জনকেই সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জোড়া ফুল শিবির।
মহালয়ার দিন আগামী ২ অক্টোবর এই সিনেমা রিলিজ করার কথা ছিল। প্রান্তিক ও রাজন্যা উভয়েই জানিয়েছেন, ‘এখনও পর্যন্ত ২ অক্টোবরই ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা। সেটা পিছিয়ে দেওয়া নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।’ আপাতত সিনেমার নির্মাতারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, মহালয়ার দিন এই সিনেমা রিলিজ করা হবে।
এই প্রসঙ্গে রাজন্যা ও প্রান্তিক এও জানান, মহিলাদের ট্রেনে, বাসে, ট্রামে বা সমাজের নানা স্তরে যে হেনস্থার শিকার হতে হয়, তারপরে কেউ তার সঙ্গে আপোস করে নেন, কেউ বা প্রতিবাদে সরব হন। আমাদের গল্পটা একেবারেই কণ্ঠ ছাড়ার গল্প। ইতিবাচক বার্তা দেওয়ার গল্প। প্রত্যেক নির্যাতিতার প্রতিবাদী হয়ে ওঠার হওয়ার গল্প, যাঁরা তিলোত্তমার থেকে এই শক্তিটা পাচ্ছে, মা দুর্গার থেকে এই শক্তিটা পাচ্ছেন। ২ তারিখ যে শর্টফিল্মটা আসছে সেটাই উত্তর দেবে। এর আগেও আমরা দলের হয়ে নানা সময় মঞ্চে দাঁড়িয়ে যে কথা বলেছি, এখনও সেই কথাই বলছি, দলীয় সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। মহালয়ার দিনে ২ অক্টোবর মুক্তি পাচ্ছে এই ছবি। পোস্টার দেখে তো বিচার করা যায় না। অনেক মানুষই এর গল্প, এর বিষয়বস্তু জানে না। আদৌ এতে কতটা নেতিবাচক দিক আছে বা ইতিবাচক দিক আছে জানেন না। আমার মনে হয় এরপর আরও বেশি করে এটি সবার সামনে নিয়ে আসা উচিত এবং সবার জানা উচিত আসল বিষয়টা কী।’
এদিকে এই শর্ট ফিল্ম নিয়ে দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। রাজন্যাদের ছবি সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই বলে সরাসরি জানান তিনি। শুক্রবার ছবির বিষয়ে এক্স মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন কুণাল ঘোষ। সেখানে তিনি লেখেন, ‘একটি শর্ট ফিল্মের খবর এসেছে। তবে তার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।’ কুণালের দাবি, তিলোত্তমার ঘটনার মতো স্পর্শকাতর বিষয় যেভাবে প্রচারে ব্যবহার করছে, তা দলবিরোধী। বিচারাধীন ঘটনা ছবির প্রচারে ব্যবহার করা উচিত নয় বলে মনে করেন তিনি। কুণাল আরও লিখেছেন, ‘যে বা যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদকে বলা হয়েছে।’ পাশাপাশি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য দু’জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি তাঁদের নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত এই সাসপেনশন বজায় থাকবে।