ঘূর্ণিঝড় ডানা নিয়ে রাজ্যের ৬ জেলাকে সতর্ক করল নবান্ন। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, ঝাড়গ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা রয়েছে তালিকায়। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী এই ছয় জেলার ওপর প্রভাব বেশি পড়বে। নবান্নর তরফ থেকে যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে যে,
উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতে ফেরি পরিষেবা বন্ধ করতে হবে।
জেলাগুলিতে মঙ্গলবার থেকে কন্ট্রোল রুম চালু করতে হবে।
সন্তানসম্ভবা মহিলাদের আগে থেকে নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করাতে হবে।
মৎস্যজীবীদের আপাতত সমুদ্রে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা।
গ্রাম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে জেনারেটর ব্যাকআপ রাখতে হবে।
পর্যাপ্ত ওষুধ যাতে থাকে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
২৪ ও ২৫ তারিখ জেলাগুলিতে ফেরি পরিষেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ।
বৃহস্পতিবার সকালে উপকূলের কাছাকাছি এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় হতে পারে। আবহাওয়া দফতর এখনও ল্যান্ডফল সম্পর্কে কিছু না জানালেও ইউরোপিয়ান মডেল গুলো জানাচ্ছে ওড়িশার ভুবনেশ্বর থেকে খুলনার মধ্যে সম্ভাবনা বেশি। এর মধ্যে ওড়িশার পারাদ্বীপ অথবা বাংলাদেশের সাতক্ষীরা দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি।
এদিকে আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, রবি থেকে সোম এই গত ২৪ ঘন্টায়, উত্তর তামিলনাড়ু এবং দক্ষিণ অন্ধ্র প্রদেশ-সহ দক্ষিণ ভারতের অনেক এলাকায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে যে তামিলনাড়ু, কেরালা, দক্ষিণ অভ্যন্তরীণ কর্ণাটক, উপকূলীয় কর্ণাটক এবং আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কিছু অংশে গত ২৪ ঘণ্টায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পূর্ব উপকূলের পাশাপাশি পশ্চিম উপকূল এবং পশ্চিমবঙ্গের গাঙ্গেয় সমভূমিতে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হয়েছে। উত্তর-পূর্ব ভারত এবং ঝাড়খণ্ড ও বিহারের কিছু অংশেও বৃষ্টি হওয়ার খবর মিলেছে। আর এই টানা বৃষ্টিতে দেশের অবস্থাও খারাপ। চেন্নাই থেকে বেঙ্গালুরু এবং পুদুচেরি থেকে তিরুবনন্তপুরম পর্যন্ত বৃষ্টি হচ্ছে। বন্যার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।বাধ্য হয়েই ফ্লাইওভারে যানবাহন পার্কিং করতে হচ্ছে মানুষ। এদিকে আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে যে, আগামী ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে উত্তর তামিলনাড়ু, উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে।