‘শনিবার আমি নিজে রাস্তায় থাকব। মানুষের স্বার্থে অ্যাকশন নেব। রাজ্যপাল বলেন, রাজ্যের পরিস্থিতি খুব খারাপ। আমি চাই, শনিবার ভোটে যেন কোনও হিংসা না হয়।‘ শুক্রবার এমনই বার্তা দিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।পঞ্চায়েত ভোটের দিন তিনি রাস্তায় থাকবেন বলে জানিয়ে দিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।
এদিকে সকালেই মুর্শিদাবাদ পৌঁছান রাজ্যপাল। এরপর মুর্শিদাবাদের হিংসাকবলিত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন। পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে রাজ্য যখন অশান্ত, তখন রাজ্যপাল একের পর এক হিংসাদীর্ণ এলাকায় পরিদর্শন করেছেন। স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের অভাব অভিযোগ শুনেছেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় ক্যানিং থেকে শুরু করে কোচবিহারের দিনহাটায় ছুটে গিয়েছেন বোস। এরপর শুক্রবার সফর করলেন মুর্শিদাবাদে। মনোনয়ন পর্ব থেকে শুরু করে ভোটের আগের দিন পর্যন্ত রাজনৈতিক হিংসায় শুধু ওই জেলাতে পাঁচটি প্রাণ চলে গিয়েছে। মনোনয়নপত্র পেশের প্রথম দিনেই ওই জেলার খড়গ্রামে খুন হল কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদ শেখ। রাজ্যপাল এদিন ফুলচাঁদের পরিবারের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁর স্ত্রী এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা রাজ্যপালের কাছে খুনের ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি করেন। এর পাশাপাশি বোস নবগ্রামে নিহত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী বাড়িতেও যান।
এদিকে রাজ্যপালের এই ভূমিকায় অখুশি শাসকদল। তৃণমূলের নেতারা রাজ্যপালের এই ভূমিকাকে অতিসক্রিয়তা এবং বিজেপির দালালি বলে আখ্যাও দিতে ছাড়ছেন না শাসক শিবির। সঙ্গে এই বলা হচ্ছে, প্রচারের আলোয়ে থাকার জন্য রাজ্যপাল এসব করছেন। বহরমপুর এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘ঠিক কথা। আমি প্রচারের জন্যই এসব করছি। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষিত রাখতে বারবার এই ধরনের প্রচার করব।’
এদিকে ভোটের আগের দিন তপ্ত রাজ্য রানিনগর ১ নম্বর ব্লকের হেরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়পুরে অরবিন্দ মণ্ডল নামে এক কংগ্রেস কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মারধরের জেরেই এই খুন বলে অভিযোগ। ভোট প্রচার করে ফেরার পথে তৃণমূল কর্মীদের লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ার অভিযোগ ওঠে ডোমকলে। মারা হয় ধারালো অস্ত্রের কোপও। গুরুতর আহত হয়েছেন গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রার্থী। মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায় বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে জখম হন ২ জন।