মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি অর্থাত্, ম্যাকাউট–এ পাঁচ বছরে বিপুল সরকারি অর্থ নয়ছয় হয়েছে বলে জানালো কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল বা ক্যাগ। সঙ্গে এও জানানো হয়েছে,
সরকারি পদ্ধতি না মেনে ও বিকাশ ভবনের সম্মতি ছাড়াই নানা খাতে প্রচুর বাড়তি ও অতিরিক্ত টাকা খরচ। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই তালিকায় একাধিক দুর্নীতি সামনে এসেছে।
সূত্রে খবর, ক্যাগের রিপোর্টে বলা হয়েছে, টেন্ডারে অংশ নেওয়া সেরা সংস্থাকে এড়িয়ে দিনের পর দিন কাজের বরাত দেওয়া হয়েছে সবচেয়ে কম যোগ্যতার সংস্থাকে। এছাড়া নিয়োগ করা চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের বেতন খাতে টাকা দিতে গিয়ে দেড় কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ হয়েছে।পাশাপাশি শিক্ষকদের বেতনে বাড়তি টাকা খরচের পাশাপাশি স্থায়ী শিক্ষকদের পদোন্নতিতে অনিয়ম এবং শিক্ষক–কর্মীদের অগ্রিম বাবদ বরাদ্দ বিপুল টাকা দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া পড়ে রয়েছে। অনিয়মের এখানেই শেষ নয়, কর্মীদের ওভারটাইমেও প্রয়োজনীয় নোট ছাড়া বাড়তি ব্যয় করা হয়েছে।
এছাড়াও ক্যাগের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, নির্বাচনের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে কার্যসমিতির (ইসি) অনুমোদন ছাড়াই নিয়মিত নিয়োগ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিটি গঠনেও অস্বচ্ছতার অভিযোগ রয়েছে। ক্যাগের তরফে সম্প্রতি এ সব অনিয়ম সংক্রান্ত ১৩২ পাতার রিপোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
কিন্তু তা নিয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে শুরু হয়েছে প্রশাসনিক চাপানউতোর। ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য তাপস চক্রবর্তী জানান, যে সময় অনিয়মের কথা বলা হচ্ছে, তখন তিনি দায়িত্বে ছিলেন না। তবে চলতি বছরের জুলাইয়ে ক্যাগ আধিকারিকদের এক্সিট মিটিংয়ে তিনি উপস্থিত ছিলেন।সে সময়ে বেশ কিছু গরমিলের বিষয়ে প্রশ্ন তুলে জবাব চাওয়া হয়েছিল।
এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে রেজিস্ট্রার পার্থপ্রতিম লাহিড়ির মতামত জানতে চাওয়া হলে তাঁর জবাব, ‘ব্রিটিশ আমল থেকে এ ভাবে অডিট কোয়্যারি চলে আসছে। আমরা বিভিন্ন প্রশ্নের সাধ্যমতো জবাবও দিয়েছি। এরপর আর কিছু জানি না।’ তবে ক্যাগের রিপোর্ট প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, ওদের পাঠানো কোনও রিপোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেনি। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কাছে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রাজভবনের তত্ত্বাবধানে এ সব ঘটছে কি না, সেটা রাজ্যপাল স্পষ্ট করুন।’