অন্যান্য সাধারণের মতোই টোটোয় এসে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট শুভেন্দুর

পঞ্চায়েত নির্বাচন শুরু হওয়ার পর থেকেই কার্যত তপ্ত রাজ্যের একাধিক অংশ। রক্তপাত, বোমাবাজি, হাতিয়ার নিয়ে তেড়ে যাওয়ার ছবি দেখা গিয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। এবার রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

শনিবার নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের ৭৭ নম্বর বুথের নন্দনায়কবাড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দিতে আসেন শুভেন্দু অধিকারী। টোটোয় চেপে ভোটকেন্দ্রে আসেন তিনি। ভোটকেন্দ্রের দিকে রওনা দেওয়ার আগে তিনি সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘ভোট করার কথা কার? বডি ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী যায়! আমরা বিজেপি কেস করেছিলাম বলে এত ফোর্স পেয়েছে। কিন্তু, তাদের ব্যবহার করা হয়নি। করার কথা কমিশনের। এত বড় রাজ্যে কেন একদফায় নির্বাচন? একজন করে কনস্টেবল এবং সিভিক ভলান্টিয়ার্স দিয়ে ভোট করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছেন যাতে ২০০ জন মারা যায়।’ এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকেও তোপ দাগেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী একটি টুইটে লেখেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে ভাড়াটে খুনি রাজীব সিনহা তাঁর পরিকল্পনা কার্যকর করছে রাজ্যজুড়ে। এটাই তাঁদের গণতন্ত্রের মডেল।‘

এরপর তিনি টোটোয় চড়ে ভোটকেন্দ্রে পৌঁছনোর পর লাইনে দাঁড়ান অন্যান্য ভোটারদের মতোই। এদিকে তিনি যখন ভোট দিতে ঢুকেছিলেন সেই সময় বাইরে তীব্র উত্তেজনা শুরু হয়।

এদিকে বিজেপি-র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যও সাংবাদিক বৈঠক করে তীব্র আক্রমণ করেন রাজ্য সরকারকে। বলেন, ‘রাতের বেলায় ভোট হয়ে গিয়েছে। লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে মানুষ দেখছে ব্যালট বাক্স বন্ধ। পূর্ব মেদিনীপুরে সীমাহীন সন্ত্রাস চলছে।  শুক্রবার থেকেই বিভিন্ন হোটেল এবং অনুষ্ঠানবাড়িতে শহরের লোক গিয়ে ভর্তি। পুলিশ কার্যত নীরব দর্শক। কিছু কিছু জায়গায় তাঁরাই হাতজোড় করে অনুরোধ করছেন। নির্বাচনকে তামাশার জায়গায় নিয়ে যাওয়া হল পরিকল্পিতভাবে।‘ সঙ্গে সংযোজন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনীর পরিচালনা কোথায় তা কমিশন জানায়নি। আমরা যা দেখতে পাচ্ছি অধিকাংশ বুথে একজন করে পুলিশ রয়েছে। মহিলা প্রার্থীরা মার খাচ্ছেন। বাড়িতে ঢুকে মারা হচ্ছে। আট জনের প্রাণ চলে গেল। কোন দলের মানুষ মারা যাচ্ছে তা বড় কথা নয়। কিন্তু, রক্তঝরা রাজনীতি সমর্থনযোগ্য নয়। কোথায় গণতন্ত্র! রাজ্যপাল সাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষার চেষ্টা করছেন।‘

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × 1 =