শিলিগুড়িতে টিভিএস আইএলপি-র উপস্থিতি সীমান্ত বাণিজ্য বাড়াতে এক জোরদার পদক্ষেপ

১ লক্ষ ৪০ হাজার বর্গফুট এলাকা জুড়ে ফুলবাড়িতে ৫.৬৬ একর জমির উপর, এ নতুন টিভিএস ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড লজিস্টিক পার্কস (টিভিএস আইএলপি) তৈরি হল। যা ভারতের শিল্প ও লজিস্টিক পার্কগুলির শীর্ষস্থানীয় বিকাশকারী, পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে একটি নতুন শিল্প কারখানা অধিগ্রহণের সাথে পূর্ব বাজারের নিজের আধিপত্য বিস্তারে এগিয়ে এল। একইসঙ্গে টিভিএস এলপি প্রথম বড় ডেভেলপার হিসাবে শহরে তার উপস্থিতি জানান দেয় এবং এরই পাশাপাশি সারা দেশে একটি শিল্প অবকাঠামো প্রদানের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।

পশ্চিমবঙ্গের একটি প্রধান দ্বিতীয় স্তরের শহর শিলিগুড়ি দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়ি জেলায় বিস্তৃত এবং ‘উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার’ হিসাবে কাজ করে। ঐতিহ্যগতভাবে চা, কাঠ এবং পর্যটন শিল্পের জন্য পরিচিত, শিলিগুড়ি পরিবহন ও সরবরাহের ক্ষেত্রে দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে, যা এটিকে বাণিজ্য ও শিল্প পরিচালনার জন্য একটি অপরিহার্য কেন্দ্র করে তুলেছে। ইস্টার্ন করিডোরে এর অবস্থান এবং এনএইচ ২৭-এ প্রবেশাধিকার একটি মূল লজিস্টিক এবং শিল্প কেন্দ্র হিসাবে এর অবস্থানকে দৃঢ় করে।

টিভিএস আইএলপি-র নতুন শিলিগুড়ি পার্কটি পরিচালনাগত দক্ষতা ও নমনীয়তার ওপর গুরুত্ব দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এটি বর্তমানে একটি শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স প্লেয়ার হোস্ট করে এবং বিল্ড-টু-সুইট বিকল্পগুলি সরবরাহ করে, যাতে সুবিধাটি বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে পারে। এই অঞ্চলে ফার্মাসিউটিক্যালস, ই-বাণিজ্য এবং খুচরো ব্যবসার মতো দ্রুত বিকাশশীল শিল্পের বিস্তৃত বিন্যাস রয়েছে যা উচ্চ গুণমান এবং কৌশলগত সরবরাহ চেইন সমাধান এবং লজিস্টিক পরিকাঠামোর চাহিদা বাড়িয়ে তোলে। টিভিএস আইএলপি-এর সুবিধাতে রয়েছে প্রাক-প্রকৌশল কাঠামো, পর্যাপ্ত পার্কিং, এবং আধুনিক সুযোগ-সুবিধা যা শিলিগুড়ি এবং তার বাইরে ব্যবসাগুলির জন্য নির্ভরযোগ্য, দক্ষ ওয়্যারহাউসিং সমাধানের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। নতুন সুবিধাটির কৌশলগত অবস্থান গ্রাহকদের জন্য তাদের গ্রাহকদের প্রয়োজনগুলি সহজতর করার জন্য অসাধারণ সংযোগ প্রদান করে।
টিভিএস আইএলপি-র নির্বাহী পরিচালক অদিতি কুমার বলেন,  ‘প্রথম গ্রেড এ বিকাশকারী হিসেবে শিলিগুড়ি বাজারকে পূর্ব শিল্প অঞ্চলে আইএলপি-র উদ্যোগের জন্য একটি কৌশলগত পদক্ষেপ। উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার হিসেবে এই শহরের অবস্থান সীমান্ত বাণিজ্যের একটি আদর্শ কেন্দ্র হয়ে উঠেছে এবং আমাদের এই সুযোগ-সুবিধাগুলি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে আমাদের গ্রাহকদের জন্য সুষ্ঠু ও দক্ষ পরিবহণ নিশ্চিত করা যায়। শিলিগুড়ির মতো টিয়ার-২ এবং টিয়ার-৩ শহরগুলিতে ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে অত্যাধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তুলতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, শিলিগুড়িতে আমাদের বিনিয়োগ মূল্যবান কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে, স্থানীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখবে এবং এই অঞ্চলের উন্নয়নে সহায়তা করবে।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eight + 6 =