সিআইআই ইস্টার্ন রিজিয়নের উদ্যোগে সিজিএসটি ও সেন্ট্রাল এক্সাইজ কলকাতার চিফ কমিশনার শ্রবণ কুমার এবং সিজিএসটি ও সেন্ট্রাল এক্সাইজ কলকাতার প্রিন্সিপাল কমিশনার মনোজ কুমার কেডিয়ার সঙ্গে কলকাতায় বিভিন্ন শিল্প সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এক মতবিনিময়ের আযোজন করা হয়। শ্রবণ কুমার সম্প্রতি জিএসটি–তে প্রবর্তিত কয়েকটি ধারা নিয়ে বিস্তৃতভাবে আলোচনা করেন। যার মধ্যে রযেছে ১১এ, ১৬ (৫) ৭৪এ এবং ১২৮এ। এর পাশাপাশি আরও বেশ কযেকটি বিষয় নিয়ে শ্রবণ কুমার বিস্তারিত আলোচনা করেন। এই প্রসঙ্গে তিনি এও বলেন, অর্থমন্ত্রী সম্প্রতি যে কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করেছেন, তাতে ই ও ডি বি–র সহজীকরণ, বিবাদ নিষ্পত্তি এবং শিল্পের অতীত চাহিদা মেটাতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আপডেট দেওয়া হয়েছে।
এর পাশাপাশি শ্রবণ কুমার এও উল্লেখ করেন যে ২ থেকে ৩ শতাংশ জিএসটি করদাতাদের সমস্যা রয়েছে, যা সাধারণত তাদের জমা দেওয়া তথ্যের সাথে সম্মতি যাচাই করার জন্য নির্বাচিত হয়। তিনি আরও বলেন, জিএসটি পোর্টালের অভ্যন্তরে আইএমএস (ইনভয়েস ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস) হল জিএসটিএন–এর নতুন বৈশিষ্ট্য, যা প্রতিটি ইনভার্ড ইনভয়েসের মূল্যায়ন প্রক্রিয়াটিকে সহজ করবে এবং সেগুলির বিরুদ্ধে পৃথক পদক্ষেপ নেবে। আই. এম. এস প্রাপক করদাতাদের একটি একক ইন্টারফেস থেকে প্রতিটি অভ্যন্তরীণ চালানের সিদ্ধান্তগুলি দক্ষতার সাথে পরিচালনা করতে সহায়তা করে।
প্যাটন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সঞ্জয় বুধিয়া বলেন, জিএসটি একটি হাতিয়ার হিসেবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ভারতীয় ব্যবসাগুলিকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এটি ভারতের কর ব্যবস্থাকে বৈশ্বিক সর্বোত্তম পদ্ধতির সঙ্গে সামঞ্জস্য করা ব্যবসা করার সহজতাকে উন্নত করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আসিয়ান (অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস)-এর মতো অনেক বাণিজ্যিক অংশীদারদের একই ধরনের ভ্যাট–ভিত্তিক কর কাঠামো রয়েছে, যা ভারতীয় ব্যবসায়ীদের জন্য আন্তঃসীমান্ত লেনদেনেকে সহজ করে তোলে।
এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন সিআইআই–এর পূর্বাঞ্চলীয় শাখার আঞ্চলিক অধিকর্তা জন কুরুভিল্লা, সিআইআই–এর আন্তর্জাতিক বাণিজ্য উপকমিটির চেয়ারম্যান সুমিত গোয়েল, সহ আরও অনেকেই।