কলকাতা পুরসভার ১২ নম্বর বরোতে বৈঠক হয় বুধবার। এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এবার থেকে বরো ১২’র অধীনস্থ এলাকায় বিল্ডিং প্ল্যান জমা দিলেই সঙ্গে সঙ্গে হবে না অনুমোদন, নির্মাণস্থল সশরীরে খতিয়ে দেখতে যেতে হবে আধিকারিকদের। একইসঙ্গে এও জানা গেছে, অতীতের ওই জমির রেকর্ড কী আছে তা খতিয়ে দেখবেন। সেখানে যদি দেখা যায় জলাভূমি রয়েছে, তাহলে অনুমতি দেওয়া হবে কি দেওয়া হবে না, সেটা বরো থেকে কলকাতা পৌরসভার সদর দফতরে ফাইল পাঠানো হবে। অর্থাৎ কসবা কাণ্ডের পর রীতিমতো সতর্ক বরো ১২।
অবাধে জলাশয় ভরাট এবং একের পর এক নির্মাণের অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা হবে বল এদিন বৈঠকে স্থির করা হয়েছে। বরো চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষের তরফে বিষয়টি আধিকারিকদেরও স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়ছ। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, গত কয়েক মাসে একের পর এক জলাশয়ে ভরাট এবং বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে ১০৭,১০৮, ১০৯ এবং ১০৪ নম্বর ওয়ার্ডে।
স্বাভাবিকভাবেই বেআইনি কাজকর্ম বন্ধ করতে বৈঠক থেকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মূলত বিল্ডিং প্ল্যান খতিয়ে দেখার জন্য সশরীরে আধিকারিকদের যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি বিল্ডিং বিভাগের মেয়র পারিষদ তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গেও কথা বলে নেওয়া হবে বলে এদিন বৈঠকে স্থির হয়েছে।