ঠাকুরপুকুরে ডায়মন্ড পার্কে খুন মহিলা

ঠাকুরপুকুরের অভিজাত আবাসন ডায়মন্ড পার্কে খুন। গলার নলি কাটা অবস্থায় মিলল এক মহিলার দেহ। সূত্রে খবর, ভাড়া নিয়ে ঠাকুরপুকুরের অভিজাত এলাকায় এসেছিলেন মহিলা। ঠিক তার পরেরদিনই ভাড়া বাড়ির ঘর থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। এরপরই গোটা এলাকা ঘিরে ফেল পুলিশ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছান পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকেরাও।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে খবর, বুধবারই ওই আবাসনে ভাড়া আসেন ওই মহিলা। যেহেতু এলাকায় নতুন, তাই তাঁর পরিচয় সম্পর্কে জানেন না তাঁরা। এ ব্য়াপারে বাড়ির মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তবে খুনের মোটিভ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।

প্রতিবেশীরা জানিয়েছিলেন, মহিলার বয়স বছর চৌত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ হবে। পুলিশ জানিয়েছে, মহিলার গায়ে একাধিক ধারাল অস্ত্রের কোপ রয়েছে। কার মারফত তিনি এই বাড়িতে ভাড়া এসেছেন, সেই জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। মহিলার পরিচয় জানলে, তবেই খুনের মোটিভ স্পষ্ট হবে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।

প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, মহিলা বাড়িতে একাই থাকতেন। কে প্রথম তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান, সেটা স্পষ্ট নয়। বাড়ির মালিকই প্রথম দেখে থাকতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দুপুরে বাইরে চিৎকারের শব্দ শুনে তাঁরা বাইরে গিয়ে শোনেন মার্ডার হয়েছে। সঙ্গে তাঁরা এও জানান, এখন এলাকা এত বড় হয়ে গিয়েছে, কে কোথায় ভাড়া আসছে, কোথায় যাচ্ছে, কিছু টের পাওয়া যায় না। তবে আগে তো এলাকায় সবাই সবাইকে নামেই চিনত।

এদিকে যিনি এই মহিলাকে ভাড়া নিয়ে এসেছিলেন, তিনি জানান, তিনি স্থানীয় এলাকায় লন্ড্রির কাজ করেন। ১৭ তারিখ ওই মহিলাকে তিনি নিয়ে আসেন। দোকানের সামনেই ওরা এসে জিজ্ঞাসা করছিল ঘর কোথাও খালি রয়েছে কি না। আর বাড়ির মালিক সে সময়ে তাঁর দোকানেই ছিলেন। তখন ওই বাড়ির মালিক-ই জানান, তাঁর বাড়ি খালি রয়েছে। এরপর বাড়ির মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন তিনি। সঙ্গে ওই লন্ড্রির মালিক জানান, মহিলা এও বলেছিলেন, তাঁর বর রয়েছে। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই এসেছিলেন। আধার কার্ড দেখিয়েওছিলেন। সঙ্গে মহিলা বলেছিলেন, ইএসআই হাসপাতালে আয়ার কাজ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 + thirteen =