কলকাতা মেট্রোয় নিউ গড়িয়া-রুবি-এয়ারপোর্ট লাইনে ব্যবহার করা হবে ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং সিস্টেম। ওডিশার বাহানাগায় ভয়ঙ্কর রেলওয়ে দুর্ঘটনায় কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। শতাব্দীর সব থেকে বড় রেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ২৯৩ জন। এই দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে রেলমন্ত্রক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিউ গড়িয়া-এয়ারপোর্ট মেট্রো পথের নিউ গড়িয়া-রুবি সেকশনে ‘ওয়ান ট্রেন অনলি’ সিস্টেম ব্যবহার করা হবে না। আগে মেট্রোরুটে এই পদ্ধতি চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রেল কর্তৃপক্ষ।
রেলমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘ওয়ান ট্রেন অনলি’ সিস্টেমের পরিবর্তে ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং সিস্টেম ব্যবহার করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করা হয়েছে। এই উন্নততর সিগন্যালিং ব্যবস্থায় একই সঙ্গে দুটি লাইনে ট্রেন চলতে পারবে। নিউ গড়িয়া-রুবি সেকশনে সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই সিস্টেম চালু করার ভাবছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। এই প্রসঙ্গে রেলের এক আধিকারিক জানান, ‘বাহানাগার দুর্ঘটনার পর ট্রেন ও মেট্রোর সিগন্যালিং ব্যবস্থা নিয়ে চিন্তিত মেট্রো রেল। ন্যূনতম সিগন্যালিং ব্যবস্থা নিয়ে মেট্রো লাইন চালু করতে চাইছে না রেলমন্ত্রক।’ মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ‘ওয়ান ট্রেন অনলি’ সিস্টেমে আরও বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে।
দুর্গাপুজোর সময় এই সেকশনে মেট্রো পরিষেবা চালু হলে আগের প্রস্তাবিত সংখ্যার তুলনায় বেশি সংখ্যায় ট্রেন চলবে। ‘ওয়ান ট্রেন অনলি’ সিস্টেম জোকা-তারাতলা ও জোকা-ধর্মতলা সেকশনে চালুর চিন্তাভাবনা রয়েছে রেলের। এছাড়াও ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং সিস্টেম ব্যবহার করা হলে দুই মেট্রো চলাচলের মধ্যে ফারাকও অনেকেটা কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে রেলমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, কমিউনিকেশন বেসড ট্রেন কন্ট্রোলের প্রথম ধাপই ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং সিস্টেম। এই অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে রেডিয়ো ব্যবহার করে সিগন্যালিং নিয়ন্ত্রণ করা হয়। নিউ গড়িয়া-এয়ারপোর্ট ও জোকা-ধর্মতলা মেট্রোরুটে শেষমেশ সিবিটিসি ব্যবহার করা হবে। এই সিগন্যালিং ব্যবস্থা তিন বছর অবধি চালু থাকবে বলে জানা গিয়েছে।