বর্ষা মানেই জলমগ্ন কলকাতা। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম কলকাতা জুড়ে ধরা পড়ে এই একই ছবি। কলকাতার বিভিন্ন অংশে জল জমার সমস্যা দীর্ঘদিনের।এর কোনও ব্য়তিক্রম হতে দেখছেন না কলকাতাবাসী। আর এই ঘটনার পিছনে রয়েছে মূলত খালগুলি যেগুলি বয়ে গেছে কলকাতার মধ্য দিয়ে বা শহরের ঠিক পাশ ধরে। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল,এই খালগুলির ধারণ ক্ষমতার উপরেই শহরে জল জমা নির্ভর করে। আর সেই কারণেই বর্ষা তার উপস্থিতি জানান দিতেই মহানগরের খালগুলি কী অবস্থায় রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে সেগুলি পরিদর্শন শুরু করলেন সেচ বিভাগ এবং কলকাতা পুরসভার কর্মী ও আধিকারিকেরা। আরএই পরিদর্শনে গিয়ে নজরে এসেছে বেশ কিছু খালের জলে পড়ে প্লাস্টিক এবং অন্যান্য বর্জ্য। যা দেখে উদ্বেগও প্রকাশ করতে দেখা যায় কলকাতা পুরসভার আধিকারিকদের। এছাড়াও, ড্রেনেজ পাম্পিং স্টেশনের কাছে পলি জমে থাকতে দেখা হয়ে গিয়েছে। এদিকে সূত্রে খবর, যে সমস্ত অংশে ড্রেনেজ পাম্পিং স্টেশনের কাছে পলি জমে আছে সেগুলি দ্রুত পরিষ্কার করতে বলা হয়।
এই প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ তারক সিং জানান, তিনি সেচ বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারদের চৌভাগা ড্রেনেজ পাম্পিং স্টেশনের কাছের অংশটি আরও কিছুটা পরিষ্কার করতে বলেছেন। সেখানে আগেই পলি অপসারণের কাজ শেষ হয়েছে। তবে ড্রেনেজ পাম্পিং স্টেশনের কাছে আরও কিছুটা পলি তোলা প্রয়োজন বলে মনে করছেন আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত, ভাসমান পদার্থ ড্রেনেজ পাম্পিং স্টেশনগুলিতে যাতে পৌঁছতে না পারে তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সেচ বিভাগ। তারপরও প্লাস্টিক জমা নিয়ে উদ্বিগ্ন আধিকারিকরা। তাঁদের মতে, এইসব প্লাস্টিক ড্রেনেজ পাম্পিং স্টেশনগুলির পথে অবরুদ্ধ হয়ে খাল থেকে জল নামার গতি কমিয়ে দেয়। পাশাপাশি কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ এও জানান, সোমবার আধিকারিকরা চারটি খাল পরিদর্শন করেছেন, সেগুলি হল- সুতি খাল, গুনিয়াগাছি খাল, ইন্টারসেপটিং খাল এবং টালিগঞ্জ-পঞ্চনগ্রাম খাল। সঙ্গে এ আশ্বাসও তিনি দিয়েছেন, জলমগ্ন এলাকা পর্যবেক্ষণের জন্য অতিরিক্ত লোক মোতায়েন করা হবে। একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, সাধারণত ১০ জুন থেকে অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত এই সব লোক মোতায়েন করা হয়ে থাকে। তবে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসের কারণে ওই চার দিনের জন্য অতিরিক্ত কর্মী মোতায়েন করা হবে। এর পাশাপাশি তারক সিংয়ের সংযোজন,গত দশ বছরে কলকাতা খালগুলি থেকে প্রায় ২০ লক্ষ টন পলি পরিষ্কার করা হয়েছে।