সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কিত ভিডিও পোস্ট করায় হরিয়ানার গুরুগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী এক আইনের ছাত্রী। অপারেশন সিঁদুর প্রসঙ্গে এক সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগে পুনের আইনের ছাত্রী শর্মিষ্ঠা পানৌলিকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, কলকাতার গার্ডেনরিচ থানায় দায়ের করা এফআইআর এবং এরপর আদালত জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানার ভিত্তিতে শর্মিষ্ঠাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, শর্মিষ্ঠা পানৌলি ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন যেখানে একটি নির্দিষ্ট ধর্ম সম্পর্কে আপত্তিকর এবং অবমাননাকর মন্তব্য করা হয় বলে অভিযোগ। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর সমাজ মাধ্যমে বিতর্কেরও সৃষ্টি হয়। এরই সূত্র ধরে কলকাতার গার্ডেনরিচ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপর কলকাতা পুলিশ একটি মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে।
একইসঙ্গে এই ঘটনায় পুলিশের তরফ থেকে এও জানানো হয়, ভিডিওটি পোস্ট করার পর অভিযুক্ত এবং তাঁর পরিবার নিখোঁজ হয়ে যান। যার ফলে তাঁকে নোটিশ পাঠানো যায়নি। এরপর পুলিশ আদালতের কাছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দাবি করে। আদালত পুলিশের সেই আবেদন গ্রহণ করে পরোয়ানা জারি করে। এরপর,কলকাতা পুলিশের একটি দল শর্মিষ্ঠার লোকেশন ট্র্যাক করে শুক্রবার গভীর রাতে হরিয়ানার গুরুগ্রামে তাঁকে গ্রেফতার করে। কলকাতা পুলিশ সূত্রে এও জানানো হয়েছে, বর্তমানে, শর্মিষ্ঠা পানৌলিকে কলকাতায় আনা হবে, যেখানে তাকে আদালতে হাজির করা হবে। এই ভিডিওটির পিছনে কোনও সংগঠিত ষড়যন্ত্র বা উদ্দেশ্য ছিল কিনা তা জানতে পুলিশ বিষয়টি নিয়ে আরও তদন্ত করছে।
এদিকে সূত্রে এ খবরও মিলছে, ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর শর্মিষ্ঠা সোশ্যাল মিডিয়ায় নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছিলেন। বিতর্কিত ভিডিও এবং সম্পর্কিত পোস্টগুলি ডিলিটও করে দিয়েছিলেন। এদিকে আইনি প্রক্রিয়া অনুসারে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। যার ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশ তাঁকে হেফাজতে নেয়।
এই প্রসঙ্গে কলকাতা পুলিশের একজন আধিকারিক এও জানান, ইনস্টাগ্রামে এই মহিলা ভিডিওটি পোস্ট করেন। যাতে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে। ভিডিওটির কারণে এলাকায় উত্তেজনার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। ফলে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হয়।