শখ ছিল স্কুটি চালানোর। আর স্কুটি চালানো শেখার সময় মাথায় হেলমেট না পরে থাকার কারণে প্রাণ গেল উচ্চমাধ্যমিকের কৃতী এক ছাত্রীর। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম পূজা সাহা। এয়ারপোর্ট থানা এলাকার বাসিন্দা সে।
সূত্রে খবর, রবিবার রাতে তাঁর বন্ধু শুভঙ্কর ভৌমিকের সঙ্গে স্কুটি নিয়ে ঘুরতে যায়। শুভঙ্করের বয়ান অনুযায়ী, রাতে তাঁর কাছে স্কুটি চালানোর আবদার করেন পূজা। সেই আবদার রেখে স্কুটি ছেড়েছিলেন তাঁর হাতে। আর নিজে বসেছিলেন পিছনের আসনে। রাজারহাট রেজওয়ানির ফাঁকা রাস্তায় স্কুটি চালাতে গিয়ে ভুলবশত অ্যাক্সিলারেটর বাড়িয়ে দেন পূজা। ফলে স্কুটি চলতে থাকে ঝড়ের গতিতে। নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি তিনি। স্পিড বেকারে নিয়ন্ত্রণ হারিয়েই ছিটকে গিয়ে পড়েন পাশের ঘন ঝোপে। আর সেখানেই মাথায় আঘাত পান পূজা। তবে বন্ধু শুভঙ্করের মাথায় হেলমেট থাকায় তিনি বেঁচে যান। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারাই তাঁকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার করে ভিআইপি রোডের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তবে পুলিশ সূত্র মারফত খবর, পূজার মাথায় হেলমেট ছিল না বলে আঘাত গুরুতর আকার নেয়। তবে তাঁর পুরুষ বন্ধুর আঘাত তেমন গুরুতর নয় বলে খবর। গাড়িটিকে আটক করেছে রাজারহাট থানার পুলিশ। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে তদন্তকারী আধিকারিকরা। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।