নিখোঁজ নাবালকের সন্ধানে পোস্টার পুলিশের

উল্টো করে ঝুলিয়ে যে নাবালককে ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়েছিল সে একেবারে বেমালুম ভ্যানিশ।  সন্তোষপুরের কারখানায় ঘটে যাওয়া ওই ঘটনায়  ইতিমধ্যেই পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের একটানা জেরাও করছে পুলিশ। কিন্তু নাবালকের হদিশ নেই। অত্যাচারের শিকার হওয়ার পর কোথায় গেল সে, সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা পুলিশের কাছে।
গত কয়েকদিন ধরে সম্ভাব্য সব জায়গায় ওই নাবালকের সন্ধান চালিয়েছে পুলিশ। এমনকী দেখা হয়েছে মাটি খুঁড়েও। কারণ, নাবালকের মৃত্যুর আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু ধৃতরা বলছে অন্য কথা। তাদের দাবি, নাবালককে অত্যাচারের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। খুব স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কোথায় গেল সে তা নিয়েই। আর সেই কারণেই কারখানার আশপাশে থাকা নদী-পুকুর-খালে একাধিকবার তল্লাশিও চালানো হয়।
এতো কিছুর পরও কোথাও সন্ধান না পেয়ে এবার পোস্টার প্রকাশ করা হল পুলিশের তরফ থেকে। ওই পোস্টার ফরোয়ার্ড করা হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। নাবালকের ছবি, নাম, ঠিকানা, গায়ের রঙ, বয়স- সবই উল্লেখ করা হয়েছে ওই পোস্টারে। পুলিশ উল্লেখ করেছে, গত ৩০ মে, সকাল ১১টা থেকে নিখোঁজ ওই নাবালক। নিখোঁজ হওয়ার সময় পরণে ছিল ফুল প্যান্ট ও গেঞ্জি। কেউ তার সন্ধান পেলে কোন নম্বরে যোগাযোগ করবে, সেটাও পোস্টারে লিখে দিয়েছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা জানিয়েছে, মারধরের পর নাবালককে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে পাঁচজনের বয়ানে কোনও মিল নেই। নানা অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। এখানেই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
অভিযোগ, স্কুলের গরমের ছুটিতে শাহেনশার ওই কারখানায় কাজ করতে গিয়েছিল নাবালক। সেখানেই মোবাইল চুরির অভিযোগ তুলে তাকে উল্টো করে ঝুলিয়ে ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। নাবালকের আত্মীয়দের দাবি, শাহেনশা তাদের কাছে একটি মোবাইল ফোন ও ২ লক্ষ টাকা চেয়েছিল। বর্তমানে পুলিশের জালে রয়েছে শাহেনশা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × two =