ডিজিটাল অ্যারেস্টের শিকার কেন্দ্রীয় সরকারি এক উচ্চপদস্থ কর্মী। শুধু তাই নয় তাঁকে খাস কলকাতার হোটেলে ‘আটকে’ রাখার অভিযোগও উঠল। একইসঙ্গে প্রতারকরা ২৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। এদিকে এই ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে কলকাতা ও হাওড়া থেকে ৮ জনকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ।
এই ডিজিটাল অ্যারেস্টের শিকার তেঁতুলতলার বাসিন্দা সৌভিক শিকদার। এরপর তিনি পর্ণশ্রী থানায় অভিযোগ করতে গিয়ে জানান, গত ২২ মে তাঁর কাছে একটি ফোন এসেছিল। একাধিকজন ছিল ফোনের ওপারে এবং তারা নিজেদের সিবিআই বলে পরিচয় দিয়েছিল। জানান হয়, তাঁর নামে একটি পার্সেল এসেছে এবং সেই পার্সেলে মাদক রয়েছে। তিনি যেহেতু কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিক তাই তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য নাকি যাচাই করতে হবে। সৌভিকের দাবি, এই বলে তাঁকে প্রথমে পার্ক স্ট্রিটের একটি হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানেই তাঁকে ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ করা হয়।
এই কথোপকথনের মাঝেই প্রতারকরা তাঁর থেকে ২৫ লক্ষ টাকা অনলাইন ট্রান্সফার করায় বলে অভিযোগ। সৌভিকের বক্তব্য, তাঁকে বলা হয়েছিল, সিবিআই তথ্য যাচাই করেই টাকা ফেরত দেবে। কিন্তু তেমনটা কিছুই হয়নি। এরপর এই ঘটনার তদন্তে নেমে হাওড়া এবং নিউটাউনের বেশ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে আট জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম নরপত সিংহ, রাজেন্দ্র সোনি, হরিশ কুমার, মনোহর, সংগ্রাম সিংহ, সুরজ, দিলীপ এবং জিতেন্দ্র।
পুলিশ জানতে পেরেছে সকলেই রাজস্থানের বাসিন্দা এবং কলকাতায় ঘর ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন। যদিও বেশিদিন কেউই এক জায়গায় থাকতেন না। বারবার জায়গা বদলাতেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়েই দুই জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। ধৃতদের কাছ থেকে বেসরকারি ব্যাঙ্কের দু’টি সোয়াইপ যন্ত্র (পিওএস সোয়াইপ মেশিন), পাঁচটি স্মার্ট ফোন, ব্যাঙ্কের বেশ কয়েকটি পাশবই, চেকবই, আধার, প্যান, ভোটার কার্ডের জেরক্স উদ্ধার হয়েছে।