• ২০২৫ সালের মে মাসে গতবছরের তুলনায় ৪৩% প্রিমিয়াম বৃদ্ধি অর্জন করেছে – স্ট্যান্ডঅ্যালোন হেলথ ইনশিওরারদের মধ্যে সর্বোচ্চ (SAHI)*
• ২০২৫ আর্থিক বর্ষে পূর্ব ভারতে ₹১৩০ কোটি+ গ্রস ডিরেক্ট প্রিমিয়াম রিটার্ন (GDPW)
• পূর্ব ভারতে গত ৩ বছরে ₹২০০ কোটি ক্লেম দেওয়া হয়েছে
• পূর্ব ভারতে ২০২৫ আর্থিক বর্ষে ২১ লক্ষ+ লাইফ কভার এবং ৪৫,০০০+ পলিসি ইস্যু হয়েছে
• কলকাতার ~ ৫০% নতুন ব্যবসা সর্বাহ প্ল্যান অনুযায়ী হয়েছে
ভারতের অন্যতম অগ্রগণ্য স্বাস্থ্য বিমা কোম্পানি মণিপালসিগনা হেলথ ইনশিওরেন্স। এবার তারা বিশেষ নজর দিল পূর্ব ভারতের ওপর। সংস্থা তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে ৪২টা শহরে এই বিমা কোম্পানির উপস্থিতি এবং পূর্বাঞ্চলে ১০,০০০-এর বেশি পরামর্শদাতা রয়েছেন। এরপরও কোম্পানির পরিকল্পনা রয়েছে খুচরো বাজারে উপস্থিতি, শাখা নেটওয়ার্ক দ্বিগুণ করা এবং আরও ১০,০০০ পরামর্শদাতা নিয়োগ করা। এই অঞ্চলে নিজেদের উপস্থিতিকে আরও জোরালো করে তুলতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। কোম্পানি ২০২৫ আর্থিক বর্ষে ১৩০ কোটি টাকা+ গ্রস ডিরেক্ট প্রিমিয়াম রিটার্ন(GDPW) তুলেছে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে এসেছে ৫৫ কোটি টাকারও বেশি।
জেনারেল ইনশিওরেন্স কাউন্সিল (GIC)-এর সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, স্ট্যান্ডঅ্যালোন স্বাস্থ্য বিমাকারীদের সংখ্যা ২০২৫ সালের মে মাসে গতবছরের তুলনায় ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। মণিপালসিগনা ৪৩ শতাংশ প্রিমিয়াম বৃদ্ধি ঘটিয়ে এই সেক্টরের বৃদ্ধিকেও ছাড়িয়ে গেছে। এই বৃদ্ধি SAHI-গুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ, যা মণিপালসিগনার ক্রেতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া প্রোডাক্ট ডিজাইনের প্রতিফলন।
সংস্থার তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে, গত তিন বছরে কোম্পানি পূর্ব ভারত জুড়ে ২০০ কোটি টাকা হেলথ ক্লেম পে করেছে,যার মধ্যে শুধু পশ্চিমবঙ্গেই ৮০ কোটি টাকা। চিকিৎসার প্রয়োজনের মুহূর্তে নির্ভরযোগ্য সঙ্গী হওয়ার দায়বদ্ধতার এটা দৃষ্টান্ত।
এই প্রসঙ্গে স্বপ্না দেশাই, চিফ মার্কেটিং অফিসার, মণিপালসিগনা হেলথ ইনশিওরেন্স,জানান, ‘পূর্ব ভারতে স্বাস্থ্য বিমাকে সম্প্রসারিত করার জোরালো সুযোগ রয়েছে। আর তা বিশেষ ভাবে রয়েছে শহরের উপকণ্ঠ, শহরতলি অঞ্চলে ক্রমশ তৈরি হওয়া বাজারগুলোতে। সর্বাহ-র মত সমাধান – যা বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে ‘মিসিং মিডল’-এর জন্যে – কলকাতায় আমাদের নতুন ব্যবসায় ৫০ শতাংশের বেশি অবদান রাখছে। সর্বাহ দিয়ে আমরা ভাল মানের চিকিৎসাকে আরও বেশি নাগালের মধ্যে এবং সাধ্যের মধ্যে নিয়ে আসছি।’
একইসঙ্গে তিনি এও জানান, এই অঞ্চলের স্বাস্থ্যের সামনে চ্যালেঞ্জগুলো এখনো জটিল। হাইপারটেনশন, ডায়বেটিস এবং হৃদরোগের মত অসংক্রামক রোগ (NCD) বাড়ছে। অন্যদিকে যক্ষ্মা আর ডেঙ্গুর মত সংক্রামক রোগও টিকে আছে। এই দ্বিমুখী বোঝা সার্বিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রয়োজনকে চিহ্নিত করে।
মণিপালসিগনার প্রোডাক্ট সম্ভার ডিজাইন করা হয়েছে একথা মাথায় রেখেই। সর্বাহ ছাড়া অন্য সেরা পারফর্ম করা প্ল্যানগুলোর মধ্যে আছে:
• লাইফটাইম হেলথ – পর্যাপ্ত আপোসহীন স্বাস্থ্য বিমা কভার, যা ব্যক্তির বর্তমান ও ভবিষ্যৎ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সুরক্ষার ব্যবস্থা করে
• সিনিয়র সিটিজেন প্ল্যান – ব্যক্তির জীবনের সোনার বছরগুলোর জন্যে বিশেষভাবে পরিকল্পিত পরিচর্যা
এই প্রসঙ্গে আশিস যাদব, হেড – প্রোডাক্টস অ্যান্ড অপারেশনস, মণিপালসিগনা হেলথ ইনশিওরেন্স জানান, ‘সর্বাহ একাধিক প্রধান বাজারে ক্রেতাদের পছন্দের বাছাই হিসাবে উঠে এসেছে কারণ এতে সত্যিকারের, রোজকার স্বাস্থ্য পরিচর্যার প্রয়োজন মেটানো হয় সহজে এবং মূল্য সমেত। আর সেই কারণেই মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলে এমন প্রোডাক্ট ও অভিজ্ঞতা যা পরিকল্পনা করা হয়েছে আমাদের দায়বদ্ধতার কথা ভেবেই।’ এর পাশাপাশি হেড – প্রোডাক্টস অ্যান্ড অপারেশনস এও জানান, ‘ আমাদের ক্রেতাদের কাছে যে জিনিসটার গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি তাতে জোর দিয়ে আমরা স্বাস্থ্য বিমায় দীর্ঘমেয়াদি বিশ্বাস গড়ে তোলার চেষ্টা করছি।’
এর পাশাপাশি মণিপালসিগনার তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে পূর্ব ভারতের প্রধান জায়গাগুলোতে ক্রিয়াশীল। আসাম, অরুণাচল প্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, ওড়িশা, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে কাজ করছে এবং অফলাইন শাখা, এজেন্ট নেটওয়ার্ক ও ডিজিটাল পরিকাঠামোর মাধ্যমে নিজের উপস্থিতি আরও গভীরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
পূর্ব ভারতে নিজের উপস্থিতি গভীরতর করতে করতে মণিপাল সিগনা নিজের মূল দীর্ঘমেয়াদি উদ্দেশ্য – ভাল মানের চিকিৎসাকে সুরক্ষাকে প্রত্যেক ভারতীয়ের নাগালের মধ্যে, সাধ্যের মধ্যে নিয়ে আসা এবং প্রাসঙ্গিক করে তোলা – তার প্রতি দায়বদ্ধ থাকছে। নির্দিষ্ট ফোকাস সমেত সম্প্রসারণ, সর্বাহ-র মত উদ্ভাবনীমূলক প্রোডাক্ট এবং বিশ্বস্ত পরামর্শদাতাদের সংখ্যাবৃদ্ধি ঘটানো। এর পাশাপাশি নেটওয়ার্কের আরও বিস্তার ঘটিয়ে মণিপালসিগনা পূর্বাঞ্চলের ব্যক্তি এবং পরিবারের বদলাতে থাকা স্বাস্থ্য পরিচর্যার প্রয়োজন মেটাতে তৈরি।