‘আমি বিচার চাই, দয়া নয়।‘ কালীগঞ্জে দশ বছরের নাবালিকা তামান্না খাতুনের মা বুধবার এমনটাই জানান ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে। আর মৃত নাবালিকার মাকে টাকা দিতে গিয়ে কার্যত বিব্রত হতে হল তৃণমূল বিধায়ককে। কালীগঞ্জের উপনির্বাচনে জয়ের বিজয় মিছিল থেকে ছোড়ায় মৃত্যু হয় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী তামান্নার। এই ঘটনায় উত্তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি। এমনকী তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। এদিকে বুধবার পুলিশ আরও এক অভিযুক্ত শরিফুল শেখকে গ্রেফতারও করেছে এই বোমা ছোড়ার ঘটনায়। ফলেগ্রেফ তারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল পাঁচে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত শিশুর পরিবার যে ২৪ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিল, শরিফুল তাদের মধ্যে একজন।
এদিকে বুধবার ন তামান্নার বাড়িতে যান ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তবে তিনি তৃণমূলের প্রতিনিধি হিসেবে নয়, এক অরাজনৈতিক মানবিক সংগঠনের তরফে গিয়েছেন বলেই দাবি করেন। তিনি তামান্নার শোকগ্রস্ত মায়ের হাতে একটি টাকা ভর্তি খাম তুলে দিতে গেলে,তা স্পষ্টভাবে ফিরিয়ে দেন সাবিনা বিবি। বলেন, ‘আমার জমি আছে, আমার বাড়ি আছে, টাকা নিতে আমি বাধ্য নই। আমি বিচার চাই, দয়া নয়।‘
ঘটনার পরে পুলিশের তরফে কৃষ্ণনগর জেলার পুলিশ সুপার অমরনাথ কে দাবি করেছিলেন, ‘দুর্ঘটনাবশত বোমার স্প্লিন্টারের আঘাতে মৃত্যু হয়েছে তমান্নার।’ এই মন্তব্যে আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন তামান্নার মা। তিনি বলেন, ‘এটা পরিকল্পিত খুন। একে দুর্ঘটনা বলে চালানো যাবে না। পুলিশকে অনুরোধ করছি, তারা যেন সেই মন্তব্য প্রত্যাহার করে।‘