গ্রেপ্তারি আটকাতে নয়া পন্থা এবার ছিনতাইকারীদের

নতুন পন্থা ছিনতাইকারীদের। ছিনতাই করে পালিয়ে রিহ্যাবে কোনও ভাবে আশ্রয় নিতে পারলেই নাকী নিশ্চিন্ত। কারণ, রিহ্যাব থেকে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারে না পুলিশ। আর এমনই পন্থা নিতে দেখা গেল ভবানীপুরের ছিনতাইয়ের ঘটনায় অভিযুক্ত বিক্রম প্যাটেল ওরফে সিন্টুকে।

গত ২৪ জুন ভরসন্ধেয়মহিলারগলাথেকেহারছিনিয়েপালিয়েছিল এই সিন্টু।এরপরতাঁকেহন্যেহয়েখুঁজলেও পুলিশ কোনও ভাবেই তার খোঁজ পাচ্ছিল না। পুলিশেরহাতথেকেবাঁচতেসিন্টু আশ্রয় নেয় সোনারপুরেরএক রিহ্যাব সেন্টারে। তবে শেষরক্ষা হয়নি।ধরা পড়ে ওই ছিনতাইবাজ।সোনারপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ভবানীপুর থানার পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২৪ জুন শম্পা মিত্র নামে বছর পঞ্চান্নর ওই মহিলা পুলিশকে জানান, ঘটনার দিন সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ ফুটপাথ দিয়ে একা হাঁটছিলেন তিনি। তখন এক দুষ্কৃতী আচমকা তাঁর গলা থেকে সোনার হার ছিনিয়ে নিয়ে পালায়। হারটির ওজন ১৫ গ্রাম ছিল।ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে। স্থানীয় সোর্স কাজে লাগিয়ে পুলিশ জানতে পারে, বিক্রম ও মহিলার হার ছিনিয়ে পালিয়েছে। এরপরই সিন্টুর খোঁজে নামে পুলিশ। এরপর পুলিশ জানতে পারে, সোনারপুরে একটি রিহ্যাব সেন্টারে আশ্রয় নিয়েছে সিন্টু। এর আগেও রিহ্যাব সেন্টারে থাকার সূত্রে সিন্টু জানতো, রিহ্যাব সেন্টারে থাকলে নাকি গ্রেফতারি এড়ানো সম্ভব। দোষ মাফ হয়ে যায়। সেই কার পন্থা। তবে এই রিহ্যাব সেন্টার থেকেই তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে বিক্রম প্যাটেল জানান, সূর্যকুমার স্ট্রিটে এক স্বর্ণব্যবসায়ীকে তিনি একটি সোনার হার বিক্রি করেছেন। তবে ওই হারটি তাঁর স্ত্রীর বলে দাবি করেন। পুলিশ এরপর ওই স্বর্ণব্যবসায়ীর কাছ থেকে হারটি উদ্ধার করে। পাশাপাশি পুলিশ এও জানিয়েছে, বিক্রম পেশাদার ছিনতাইবাজ। টালিগঞ্জ থানা এলাকায় বাড়ি। একাধিক ঘটনায় জেল খেটেছেন। বিক্রমের মাদকাসক্তি রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − 10 =