হেনস্থা, মারধর ও খুনের হুমকির অভিযোগে তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাক্তন আইপিএস হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে দায়ের হল এফআইআর। বিধাননগর উত্তর থানায় এফআইআরটি দায়ের করেছেন প্রলয় শঙ্কর চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তি। ঘটনার তদন্তে নেমেছে বিধাননগর কমিশনারেট।
অভিযোগ, ২০২২ সালে ১৫ সেপ্টেম্বর মাসে নিজের অফিসে কাজ করছিলেন প্রলয় শঙ্কর চক্রবর্তী। অভিযোগ, সেই সময় বিকেল ৪টে নাগাদ তাঁর অফিসে ঢুকে তাঁকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখান তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাক্তন আইপিএস হুমায়ুন কবীর। তাঁকে গালিগালাজ ও মারধর করার পাশাপাশি খুনের হুমকিও দেন বলে অভিযোগে জানিয়েচেন শঙ্করবাবু। এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন প্রলয়বাবু। এদিকে এই ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজও ভাইরাল। যার সত্যাতা অবশ্য যাচাই করা সম্ভব নয় নিউজ ৩৬৫x২৪ -এর তরফ থেকে।
প্রসঙ্গত বর্তমানে তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর দীর্ঘদিন ধরেই পুলিশের উচ্চপদস্থ অফিসার ছিলেন। বহু জেলায় বড় পদে দায়িত্বও সামলেছেন। পরবর্তীতে তৃণমূলে যোগ দিয়ে বিধায়ক হন। সম্প্রতি রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঘটে যাওয়া হিংসা নিয়েও মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসা দেখে তিনি রীতিমতো ‘লজ্জিত’ এবং ‘দুঃখিত’ বলেও জানান কবীর। প্রাক্তন এই পুলিশ কর্তা বলেন, তিনি খুবই লজ্জিত, কারণ যে মানুষগুলো মারা গিয়েছেন তাঁরা আর ফিরবেন না। তাঁদের পরিবারের লোকেদের কী হবে, সেই নিয়েও উদ্বেগপ্রকাশ করে তিনি। এরই পাশাপাশি তিনি এও বলেন, ‘একই জিনিস চলছে, খুব খারাপ লাগছে, খুব কষ্ট হচ্ছে। অনেকে প্রধান হবেন, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হবেন, কর্মাধ্যক্ষ হবেন, কিন্ত যে লোকগুলো ফিরতে পারল না, তাঁদের পরিবারের কী হবে?’
এমনকী দলের শীর্ষস্থানীয় নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ টেনে কবীর বলেন, ‘অভিষেকবাবু আন্তরিকভাবে চেষ্টা করেছিলেন, যাতে রক্তপাতহীন নির্বাচন হয়, তারপরেও রক্তপাত হল! আমাদের প্রত্যেকের একটা মিলিত দায়িত্ব আছে।’ পঞ্চায়েক নির্বাচনে রক্তপাত এবং প্রাণ যাওযার ঘটনায় আক্ষেপের সুরেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, দল এই বিষয়ে তাঁর থেকে পরামর্শ নেয় না। তবে যদি কোনওদিন দল পরামর্শ চায়, তাহলে তিনি সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত বলেও জানান হুমায়ুন কবীর। এবার সেই হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধেই উঠল মারধর ও খুনের হুমকির অভিযোগ। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ।