স্বপ্নের মাইলফলক স্পর্শ করা থেকে মাত্র একধাপ দূরে! আর মাত্র একটা জয়। সার্বিয়ান কিংবদন্তি ধরে ফেলবেন মার্গারেট কোর্টকে। পুরুষ হোক বা মহিলাদের টেনিস, সর্বাধিক ২৪টি সিঙ্গলস গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালকিন মার্গারেটের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন জোকার। তবে সেমি-ফাইনালে মসৃণ জয়েও ভাসতে দেখা যানি এই সার্বিয়ান তারকাকে। দেখে বোঝার উপায় ছিল না যে জানিক সিনারকে স্ট্রেট সেটে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছেছেন জোকার। তাঁকে দেকে তখন মনে হচ্ছিল এই স্কোরটাই স্বাভাবিক ছিল তাঁর কাছে। অন্য কিছু হলে সেটাই হয়তো হতো আশ্চর্যের। এখানে বলে রাখা ভাল খেলার ফল হয়েছিল ৬-৩, ৬-৪, ৭-৬ (৭-৪)। খেতাবি লড়াইয়ে তাঁর প্রতিপক্ষ কার্লোস আলকারাজ। দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে স্প্যানিস তারকা ৬-৩,৬-৩,৬-৩ সেটে হারিয়েছেন ড্যানিল মেডভেডেভকে। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার কোনও গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে উঠলেন আলকারাজ। তবে ফাইনালে গ্রাসকোর্টে জকোভিচে জ্যোতি ম্লান করার ক্ষমতা রাখেন আলকারাজ। সেন্টার কোর্টে নোভাক জোকোভিচের মুখোমুখি হওয়ার আগে বেশ আত্মবিশ্বাসী কার্লোস আলকারাজ। উইম্বলডন শুরুর আগে থেকেই আলকারাজ খেতাব জেতার দৌড়ে এগিয়ে রেখেছেন অভিজ্ঞ জোকোভিচকে। একাধিক বার বলেছেন, তাঁকে চ্যাম্পিয়ন হতে হলে জোকারের বাধা টপকাতেই হবে। সেই মঞ্চই তৈরি রবিবারের ফাইনালে। জোকোভিচের বিরুদ্ধে উইম্বলডন ফাইনাল খেলার সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত আলকারাজ। শুক্রবার দানিল মেদভেদেভের বিরুদ্ধে জয়ের পর আলকারাজ বলেছেন, ‘উইম্বলডন ফাইনাল খেলা আমার স্বপ্ন ছিল। এ বার সেই ফাইনাল খেলব। বিশ্বাসই হচ্ছে না। আমি শুধু ম্যাচটা উপভোগ করতে চাই।’
এদিকে রবিবার ফাইনালের আগে উইম্বলডনের সেন্টার কোর্টের চাপ এর আগে আটবার সামলেছেন জোকার। তার মধ্যে সাতবারই শিরোপা জিতে ফিরেছেন। ২০১৩ সালে ফাইনালে উঠেও রানার্স হয়ে কোর্ট ছাড়তে হয়েছিল। তবে সেবার আর এবারের মধ্যে মস্ত ফারাক। প্যারিস থেকে ২৩টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতে টেমস নদীর পারে হাজির হয়েছেন জকোভিচ। আগেই বলে দিয়েছিলেন, রেকর্ড ২৪ টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের লক্ষ্যেই লন্ডনে এসেছেন। ফাইনালে উঠে স্বপ্নপূরণের আরও কাছে সার্বিয়ান তারকা। তাঁর ও মার্গারেটের কীর্তির মাঝে মাত্র একটি ম্যাচ।