তুলনাহীন তুলিন

বর্ষা এসেছে একেবারে তার রুদ্রবেশে। তবে এই শ্রাবণ মেঘের ঘনঘটার মাঝে মন যেতে চায় ঘরের চারদেওয়াল ছাড়িয়ে একটু বাইরে। নানা জায়াগয় বাঙালি গেলেও হয়তো এখনও অনেকেরই যাওয়া হয়ে ওঠেনি ঘরের কাছেই থাকা তুলিন-এ। নামের মতই সুন্দর এই জায়গা। পশ্চিমবঙ্গ আর ঝাড়খণ্ডের ঠিক সীমান্তে অবস্থিত তুলিন। এখানে সুবর্ণরেখা নদী বয়ে চলেছে এক শান্ত মেয়ের মত। তবে বর্ষাকালে তার রূপ যায় বদলে। দামাল হয়ে ওঠে বর্ষার ছোঁয়ায়।

তুলিন পুরুলিয়া জেলার ছোট্ট এক গ্রাম। এই গ্রামে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে বানসা পাহাড়। নেড়া পাথুরে সেই পাহাড়ের কাছে ঘোরার সময় যখন দূর থেকে সাঁওতালি গান দূর থেকে ভেসে আসে তখন সে সুরের মাহাত্ম্যই আলাদা। এই তুলিন থেকে রাঁচির জোনাহ ফলস, দশম ফলস, পত্রাতু ভ্যালি এই সব জায়গা যেমন যাওয়া যায় তেমনই পুরুলিয়ার মুরুগুমা ড্যাম, অযোধ্যা পাহাড়ও যাওয়া যায়।

এখানে বলে রাখা ভাল, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় তুলিনে থেকেছেন অনেকদিন। তাঁর আবাসস্থল তুলিন হেরিটেজ বাংলোতে থাকলে এক অনন্য অভিজ্ঞতা হবে তা নিশ্চিত ভাবে বলা যায়। না থাকলেও ওখানে দুপুরের খাওয়াটা কোনওভাবেই  মিস করবেন না। তুলিন যাওয়ার সবথেকে সহজ রাস্তা হাওড়া-হাটিয়া এক্সপ্রেস বা ক্রিয়া-যোগা এক্সপ্রেস ধরে মুড়ি জংশনে গিয়ে নামা। সেখান থেকে টোটো করে তুলিন। তাছাড়া পুরুলিয়া বা রাঁচি হয়ে গাড়িতেও যাওয়া যায় তুলিনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three − 1 =