ধান কেনার পদ্ধতিকে আরও সরলীকরণ করল রাজ্য সরকার। সঙ্গে বাড়ান হল ধানের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যও। বুধবার রাজ্য সরকারের খাদ্যে ও সরবরাহ দপ্তরের তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই বিষয়টি জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে মোট ১২টি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে দপ্তরের তরফে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে,ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের স্বার্থ রক্ষা করতে এবং খাদ্যসাথী উপভোক্তাদের জন্য আরও ভালমানের চালের ব্যবস্থা করতে রাজ্য সরকার সাধারণ ধানের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ২,০৪০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২,১৮৩ টাকা করছে। আর যদি কোনও কৃষক তাঁর ধান সিপিসি,ডিপিসি বা মোবাইল সিপিসি-তে বিক্রি করেন,তাহলে এই ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের ওপরে কুইন্টাল প্রতি আরও ২০ টাকা দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে একজন কৃষক কুইন্টাল প্রতি পাবেন ২,২০৩ টাকা।
পাশাপাশি ধান বিক্রির ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানোর কথাও বলা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে। সেখানে বলা হয়েছে,একজন কৃষক সর্বোচ্চ যে পরিমাণ ধান বিক্রি করতে পারেন তা বাড়িয়ে ৯০ কুইন্টাল করা হল। এর ফলে যাঁরা এখনও পর্যন্ত কিছু ধান বিক্রি করেছেন তাঁরা ৯০ কুইন্টাল পর্যন্ত ধান বিক্রি করতে পারবেন। আর যাঁরা এখনও পর্যন্ত কোনও ধান বিক্রি করেননি,তাঁরা একেবারে বিক্রি করতে পারবেন ৯০ কুইন্টাল পর্যন্ত। আর ধান বিক্রির পর টাকার জন্যও বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ধান বিক্রির পর ৩টি কাজের দিনের মধ্যেই তার মূল্য সরাসরি কৃষকদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে।
এছাড়াও এখন থেকে ধান বিক্রির সময় কৃষকরা নির্ধারিত দিনে বায়োমেট্রিক প্রমাণীকরণ,আধার লিঙ্ক করা মোবাইল নম্বরে প্রাপ্ত ওটিপি অথবা রেজিস্টার করা মোবাইল নম্বরে প্রাপ্ত ওটিপি যাচাইয়ের মাধ্যমেই ফসল বিক্রি করতে পারবেন। এছাড়া ধানের গুণগত মান নিয়ে কোনও সমস্যা হলে তারও সমাধানের ব্যবস্থা রয়েছে। সেক্ষেত্রে, কৃষকার প্রতিটি ব্লকে উপস্থিত তিন সদস্যের কমিটির দ্বারস্থ হতে পারেন। এছাড়াও একটি টোল ফ্রি নম্বরও দেওয়া হয়েছে। ১৮০০ ৩৪৫ ৫৫০৫ বা ১৯৬৭ নম্বরে ফোন করে খাদ্য ও সরবরাহ বিভাগের সঙ্গে সরাসরি কথাও বলতে পারেন কৃষকরা। পাশাপাশি ধান বিক্রির দিন ঠিক করতে কৃষকরা নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে ভিজিট করেও সুবিধা পেতে পারে। এর ফলে ধান বিক্রির ক্ষেত্রে কৃষকদের সুবিধা হবে বলেই মনে করছে খাদ্য ও সরবরাহ দফতর।