এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্টের তরফ থেকে ভয়েস স্যাম্পল চাইলেও রাজি ছিলেন না সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র অর্থাৎ কালীঘাটের কাকু। নিম্ন আদালত নির্দেশ দেওয়ার পরও আপত্তি থাকায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। কিন্তু সেখানেও তাঁর দাবি ধোপে টিকল না। বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘কীভাবে একটি তদন্তকারী সংস্থাকে ভয়েস স্যাম্পল নেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা দিতে পারে আদালত? তাঁর কথায়, নমুনা প্রমাণ হিসেবে গ্রাহ্য হবে কি না, তা পরের বিষয়। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রমাণের জন্য ভয়েস স্যাম্পল নিতে অসুবিধা কোথায়? বিচারপতি উল্লেখ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের একাধিক রায় অনুযায়ী, তদন্তের এই পর্যায়ে নমুনা সংগ্রহে স্থগিতাদেশ দেওয়া যায় না। ভয়েস স্যাম্পল বা কন্ঠস্বরের নমুনা ইডি-কে দিতেই হবে।‘ বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। বিচারপতির বক্তব্য, তদন্তকারী সংস্থা ভয়েস স্যাম্পল চাইলে তাতে স্থগিতাদেশ দিতে পারে না আদালত। তবে ওই ভয়েস স্যাম্পল সংগ্রহ করা হলেও প্রমাণ হিসেবে সেটি মূল মামলার তদন্তে ব্যবহার করা হবে কি না, তা পরে বিবেচনা করবে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। সুজয় কৃষ্ণের পক্ষে আইনজীবী কিশোর দত্তের বক্তব্য ছিল, পরিস্থিতি খুব খারাপ হলে তবেই কন্ঠস্বরের নমুনা নেওয়া যায়। এক্ষেত্রে তেমন কিছু হয়নি। ২০১৮-র প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই নমুনা চাওয়া হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, সুজয়কৃষ্ণ গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয়। স্ত্রীর মৃত্যুর পর পারলৌকিক কাজ সম্পন্ন করার জন্য তাঁকে প্যারোলে জেল থেকে ছাড়া হয়। প্যারোল শেষ হওয়ার পরই তাঁর কন্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জেলে যাওয়ার সময়ই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। বর্তমানে তিনি এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন। বুকে পেসমেকারও বসানো হয়েছে তাঁর। হাসপাতালে কীভাবে নমুনা সংগ্রহ করা হবে, সে বিষয়ে কোনও নির্দেশ দেয়নি হাইকোর্ট। এই বিষয়টি নিম্ন আদালতে জানানোর কথা বলা হয়েছে।