২০২৩-এর শহিদ দিবসের মঞ্চে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন চমক রাজন্যা। বৃহস্পতিবার সভাস্থলে গিয়ে রাজন্যাকে বক্তব্য পেশ করার কথা বলে এসেছিলেন খোদ মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। মূল মঞ্চে দাঁড়িয়ে সুপ্রিমোর সুরে সুর মিলিয়ে ‘দিল্লি’ দখলের বার্তা দিলেন প্রেসিডেন্সির ছাত্রী রাজন্যা হালদার।
২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবসের মঞ্চে ছাত্রনেত্রী হিসেবে পরিচয় দিয়ে তাঁকে মঞ্চে ডাকেন সুব্রত বক্সি। একুশের ‘থিম’ মেনে পরণে ছিল হলুদ সালোয়ার, তার ওপর দলের প্রতীক। ১০ মিনিটের টানটান বক্তৃতায় বিরোধীদের কড়া আক্রমণ করার পাশাপাশি নেতৃত্বের ‘জয়গান’ প্রতিধ্বনিত হল তাঁর গলায়।
বক্তব্যের শুরুতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রণাম জানিয়ে এদিন বক্তব্য শুরু করেন রাজন্যা। শহিদ স্মরণ করে রাজন্যা বলেন, ‘৩০ বসন্ত পেরিয়ে আজ আমি স্বপ্ন দেখি, ধর্মতলায় নয়, ২০২৪-এ লালকেল্লার বুকে হবে ২১ জুলাই পালন।’ বক্তব্য রাখতে গিয়ে তুলে ধরেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোসের কথাও। তাঁর সঙ্গে তুলনা করে রাজন্যা এদিন বলেন, ‘কয়েক দশক আগে এক বাঙালি বলেছিলেন দিল্লি চল। আফশোষ হয়, সে দিন যেতে পারিনি। আজ আর এক বাঙালি ডাক দিয়েছেন, দিল্লি চল। এবার মমতার সঙ্গে থাকবই।’ এরই পাশাপাশি বিরোধীদের আক্রমণ করে রাজন্যার হুঁশিয়ারি, ‘তোমাদের কাছে সিবিআই আছে ইডি আছে, আমাদের কাছে দিদি আছেন।’ এখানে একটা কথা বলে রাখা শ্রেয়, এর আগে সেভাবে কোনও ছাত্র প্রতিনিধিকে একুশের মঞ্চে বক্তব্য রাখতে দেখা যায়নি। এই প্রথম সেই সুযোগ পেলেন রাজন্যা।
একুশের মঞ্চে শুধু রাজন্যার বক্তব্যই রাখলেন না। গানও গাইল‘জয়ী’ ব্যান্ডও। এই ব্য়ান্ডে আবার রয়েছেন রাজন্যাও। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কিছু কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে এই ব্যান্ড তৈরি করে দিয়েছেন মমতা নিজেই।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২১ জুলাইয়ের সভাস্থল পরিদর্শনে যান, তখন রাজন্যারা গান পরিবেশন করছিলেন। ২১ জুলাই নিয়ে গান তৈরি করার কথাও জানান তাঁরা। এরপরই নতুন প্রজন্মকে সুযোগ করে দেওয়ার কথা বলেন মমতা। বেছে নেন রাজন্যার নাম।