পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা এবার হলফনামা দিয়ে আদালতে জানাতে চলেছে বিএসএফ। প্রসঙ্গত, এই স্পর্শকাতর বুথ নিয়ে নির্বাচন কমিশন এবং বিএসএফ-কে তরজায় জড়িয়ে পরতে দেখা যায়। ভোটগ্রহণ শুরুর পরেও তাঁদের কাছে কোনও স্পষ্ট তথ্য ছিল না বলে অভিযোগ করেছিলেন বিএসএস কর্তা। সেই ঘটনায় ভোট মেটার তিনদিন পর অবশেষে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নোডাল অফিসারকে স্পর্শকাতর বুথের হিসেব দেওয়া হয়। সেই হিসেবই এবার আদালতে হলফনামা দিয়ে স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা জানাতে চলেছেন বিএসএফ আইজি।
এদিকে এবারের পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার ব্যাপারে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে যাতে কোনও ফাঁক না থাকে, তার জন্য ফোর্স কো-অর্ডিনেটের করা হয়েছিল বিএসএফের আইজি পদমর্যাদার অফিসার সতীশচন্দ্র বুদাকোটিকে। কিন্তু তারপরেও নাকি রাজ্য নির্বাচন কমিশন স্পর্শকাতর বুধের তালিকার হিসেব দেয়নি বিএসএফকে। এমনকী, ৮ জুলাই পঞ্চায়েত ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে যাওয়ার পরেও স্পর্শকাতর বুথের তালিকা পায়নি কেন্দ্রীয় বাহিনী। ভোটের দিন দুপুরে নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে চিঠি লিখে চূড়ান্ত অসহযোগিতা করার অভিযোগ এনেছিলেন বুদাকোটি। পাল্টা রাজীব সিনহাও চিঠি লিখেছিলেন বিএসএফের আইজিকে। তাঁর দাবি, সব কিছুই চিঠি লিখে এবং হোয়াটসঅ্যাপ মারফত জানানো হয়েছিল বুদাকোটিকে, যার রেকর্ডও রয়েছে বলে দাবি করেন সিনহা। সেই বাদানুবাদের রেশ শেষ পর্যন্ত গড়িয়েছিল আদালত পর্যন্ত।
সেই ঘটনায় ভোট মেটার ৩ দিন পর সেন্ট্রাল ফোর্সের নোডাল অফিসারকে রাজ্যের স্পর্শকাতর বুথের হিসেব পাঠানো হয় নির্বাচন কমিশনের তরফে। ১১ তারিখ বিএসএফের আইজিকে চিঠি লিখে জানানো হয়, বাংলায় মোট ৪৮৭৬টি স্পর্শকাতর বুধ রয়েছে। এই হিসেব এবার আদালতকে হলফনামা দিয়ে জানাতে চলেছেন নোডাল অফিসার, এমনটাই সূত্রের খবর।