২১ জুলাইয়ের শেষবেলাতে চমক। সবাইকে বাস্তবিকই চমকে দিয়ে ২১ জুলাইয়ের সভাস্থলে হাজির হন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়। এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য যখন প্রায় শেষের পথে, তখন হঠাৎই সভাস্থলের কাছে একটি সাদা গাড়িতে করে আসতে দেখা যায় মুকুলকে। এদিকে পুত্র শুভ্রাংশু রায় সকাল থেকেই স্বেচ্ছাসেবকদের পোশাকে মোতায়েন ছিলেন সভামঞ্চের কাছে। তিনিই এগিয়ে যান বাবার দিকে। বাবার হাত ধরে মঞ্চের দিকে এগিয়ে যান, যদিও মঞ্চে ওঠেননি মুকুল। অনেক নেতা-কর্মীই তাঁকে দেখে এগিয়ে যান। সৌজন্য বিনিময় করেন বর্ষীয়ান নেতার সঙ্গে। প্রসঙ্গত, এক সময়ে এই শহীদ দিবসের মঞ্চ কাঁপিয়ে তাঁকে বক্তৃতাও শোনা গিয়েছিল। এখন সেই সব অতীত। তারপর গঙ্গা দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। তারপর দলের মধ্যে এসেছে অনেক বদল। একদা মমতার ছায়াসঙ্গী মুকুল রায় ঘায় ফুল ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। রাজনীতিতে যে কিছুই অসম্ভব নয় সেটা ওই দিনই প্রমাণ হয়ে যায়। এরপর ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হিসেবেই জয়ী হয়ে বিধায়ক হন মুকুল।২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে পর তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে মুকুল ও শুভ্রাংশুকে তৃণমূলে যোগ দিতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু দলত্যাগ বিরোধী আইনে বিজেপি অভিযোগ করলে, শুনানি শেষে বিধানসভার অধ্যক্ষ জানান মুকুল আছেন বিজেপিতেই।
এখানেই শেষ নয়, কিছুদিন আগে হঠাৎ দিল্লি গিয়েছিলেন মুকুল রায়। সেখানে গিয়েও তিনি জানিয়েছিলেন যে তিনি বিজেপিতেই আছেন। অমিত শাহ, জে পি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করবেন বলেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু আদতে দেখা হয়নি কারও সঙ্গেই। তবে যাই হোক না কেন, রাজ্য রাজনীতিতে সাম্প্রতিক কালে আর খুব বেশি সক্রিয় হতে দেখা যায় না মুকুলকে। এদিকে একসময়ের তুখোড় রাজনীতিকের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে চর্চা চলে আজও।