দুর্গাপুজোয় হকারদের জন্য বড় পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের

দুর্গাপুজোয় এক বড় পদক্ষেপ রাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের। এবার হকারদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। এক  কথায়, মানবিক পদক্ষেপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের। সূত্রে খবর, রাজ্যের সব পুরসভা ও পুরনিগম এলাকার হকারদের দেওয়া হবে বিশেষ সুযোগ।

পুজো মানেই জামাকাপড় কেনার ধুম। এই সময়টা একটু রোজগারের মুখ দেখে হকার বা ছোট ব্যবসায়ীরা। তবে হাতে টাকা কম থাকলে ব্যবসা বাড়ানোর সুযোগ থাকে না। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই পুঁজির অভাবে ব্যবসা বাড়াতে পারেন না। তাই সেইসব হকারদের স্বাবলম্বী করে তুলতে তিন দফায় মোট ৮০ হাজার টাকা ঋণ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এতে প্রথম দফায় দেওয়া হবে ১০ হাজার টাকা। সেই ঋণ পরিশোধ করতে পারলে দেওয়া হবে পরের দফার ঋণ। এই পরিমাণ হল ২০ হাজার টাকা। এবং এই ঋণ পরিশোধ করার সর্বোচ্চ সীমা হল ১ বছর। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই ঋণ পরিশোধ করতে পারলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি পাবেন আরও ৫০ হাজার টাকা লোনের সুবিধা। এখানেই শেষ নয়, ঋণ পরিশোধের সুবিধার কথাও মনে রেখেছে সরকার।

সূত্রের খবর, যে ব্যাঙ্ক এই ঋণ দেবে তাদের নির্ধারিত সুদের হারেও উপর ৭ শতাংশ ছাড় পাবেন হকাররা। এটার জন্য হকাররা যে পুরসভা বা পুরনিগম এলাকায় ব্যবসা করেন সেখানে গিয়ে আবেদন করতে হবে তাদের।

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ৭৫ হাজার ২৭২টি আবেদন জমা পড়েছে। তারমধ্যে ৪৬ হাজার ৫৬৯টি আবেদন অনুমোদিতও হয়েছে যাঁরা এই লোনের যোগ্য বিবেচিত হয়েছেন। নবান্ন সূত্রে খবর, ৩৫ হাজার ৩৩৮ জন হকার ইতিমধ্যে ঋণ পেয়েও গিয়েছেন। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক ৩৯ কোটি ৩১ লক্ষ টাকার ঋণ দিয়েছে। ঋণ অনুমোদন করেছে ৫২ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকার। মূলত রাষ্ট্রয়াত্ত ব্যাঙ্কগুলিই এই ঋণগুলি দিচ্ছে।

এদিকে পাশাপাশি এও শোনা যাচ্ছে, গ্রামীণ এলাকার কোনও বাসিন্দা পুর-এলাকায় হকারি করলে তিনিও এই সুবিধা পাবেন। এটার জন্য প্রতিটা পুরসভায় এই প্রকল্পের জন্য একজন করে নোডাল অফিসারও দেওয়া হয়েছে।

তথ্য যা বলছে তাতে এখনও পর্যন্ত বর্ধমান পুরসভায় সবেচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ব্যারাকপুর মহকুমার একাধিক পুরসভা। প্রত্যেক পুরসভায় এই প্রকল্পের জন্য একজন করে নোডাল অফিসার রয়েছেন। এদিকে পুজোর আগে রাজ্য সরকারের এই মানবিক পদক্ষেপে খুশি হকার থেকে শুরু করে তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও। কারণ, এই টাকা পেলে ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রভূত সুবিধা হবে বলে মনে করছেন তাঁরা। একইসঙ্গে আশাবাদী সরকারি কর্তারা। ফলে সব মিলিয়ে আশা করা হচ্ছে, রাজ্য সরকারে এই নতুন স্কিমে পুজোর আগে মুখে হাসি চওড়া হবে রাজ্যের হকারদের ও পরিবারের।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 − one =