টমেটো ছাড়া এবার হাত দেওয়া যাচ্ছে সবজির বাজারে। দিন কয়েক আগে যেভাবে সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছিল, তাতে কপালে ভাঁজ পড়েছিল মধ্যবিত্তের। যদিও সবজি কেনার সময় সতর্ক থাকা প্রয়োজন। কারণ, বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম কম থাকলেও, কয়েকটি সবজির দাম কিন্তু রয়েছে চড়া।
যেমন সপ্তাহ দুয়েক আগে বাজারে কাঁচালঙ্কার দাম ছিল ৩৫০-৪০০ টাকা কেজি। তা কমে হয়েছে ১৪০-১৫০ টাকা। ঢ্যাঁড়শের দাম ৮০ টাকা কেজি থেকে কমে হয়েছে ৫০ টাকা। বেগুনের কেজি ৮০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ৪০ টাকা। অর্থাৎ নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজিগুলোর দাম কমেছে। তবে চড়া রেটে বিকোচ্ছে টমেটো। এখনও টমেটোর কেজি রয়েছে ১৫০ টাকাতেই দাঁড়িয়ে। আলুর দাম মধ্যবিত্তকে স্বস্তি দিচ্ছে। আলুর প্রতি কেজিতে দাম রয়েছে ২২ টাকা। চন্দ্রমুখী আলুর কেজি প্রতি রেট রয়েছে ২৬ টাকা। হিমাঙ্গি আলুর দাম ২৪-২৫ টাকা।
সবজির দামে তুলনামূলক স্বস্তি পাওয়া গেলেও মাছের দামে অস্বস্তি বহাল রয়েছে। রুই মাছের প্রতি কেজিতে দাম ২০০-২২০ টাকা। কাতলা মাছের কেজি রয়েছে ৩৫০ টাকা। ট্যাংরা মাছেরও প্রতি কেজিতে দাম রয়েছে ৩৫৯ টাকা। ভোলা মাছের প্রতি কেজির দাম ৩০০ টাকা। তবে চড়া দর ভেটকির। প্রতি কেজিতে দাম রয়েছে ৫০০ টাকা। তবে কম দামে কিনতে পারেন তেলাপিয়ার মতো মাছ। প্রতি কেজি তেলাপিয়ার দাম রয়েছে ২২০ টাকা। লোটের দাম ১২০ টাকা।
অন্যদিকে বাজারে এখন ইলিশের ছড়াছড়ি। ৫০০ টাকা কেজি থেকে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। ৩৫০-৪০০ গ্রামের মধ্যে ইলিশের প্রতি কেজিতে দাম রয়েছে ৫০০ টাকা। তবে ৭০০-৭৫০ গ্রামের ইলিশের দাম রয়েছে ১০০০ টাকা। অন্যদিকে ১ কেজি ওজনের ইলিশের দাম রয়েছে ১৫০০ টাকা। চিংড়ির দামও রয়েছে চড়া। গলদা চিংড়ির প্রতি কেজির দাম রয়েছে ৭০০ টাকা। বাগদা চিংড়ির প্রতি কেজির দাম ৪৫০ টাকা ও ছোট চিংড়ির কেজি ৩০০ টাকা।
মাছের দাম যতই চড়া হোক না কেন, মাংসের দাম কমেছে। চিকেনের প্রতি কেজিতে দাম রয়েছে ১৯০-২২০ টাকা। গোটা মুরগির কেজি রয়েছে ১২৫-১৩৫ টাকা। মাটনের প্রতি কেজির দাম রয়েছে ৭৫০-৮০০ টাকা।