বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী ভোলানাথ মণ্ডলের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় হাইকোর্টে ভর্ৎসনার মুখে রাজ্য পুলিশ। কারণ, রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে মৃত বিজেপির প্রার্থীর পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ জানানো হয়েছে, পুলিশের কাছে অভিযোগ আসার পরেও কোনও এফআইআর দায়ের হয়নি। এছাড়াও আরও গুরুতর অভিযোগ হল, কোনওরকম ময়নাতদন্ত ছাড়াই ওই বিজেপি প্রার্থীর দেহ সৎকার করা হয়। এই ইস্যুতে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলাও দায়ের হয়। মঙ্গলবার এই মামলাই ওঠে হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর বেঞ্চে। মামলাকারীদের অভিযোগ শুনে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত জানান, এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এমন অবস্থায় ভোলানাথ মণ্ডল নামে বিষ্ণুপুরের ওই বিজেপি প্রার্থীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় ডিএসপি পদমর্যাদার কোনও অফিসারকে দিয়ে তদন্ত করানোর নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। একইসঙ্গে গণনাকেন্দ্র ও যে দু’টি হাসপাতালে ওই বিজেপি প্রার্থীর চিকিৎসা চলেছে, সেই দুটি হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজও বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কেন পুলিশের কাছে অভিযোগ আসার পরেও এফআইআর দায়ের করা হয়নি, তা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলা হয় হাইকোর্টের তরফ থেকে। এরপরই বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর নির্দেশ, ২১ জুলাই যে অভিযোগ জমা পড়েছিল, সেগুলি এখনই এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করতে হবে এবং দ্রুত তদন্ত শুরু করতে হবে।
সঙ্গে এও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগামী ১৮ অগাস্ট এই সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানির দিন পুলিশের তরফে কেস ডায়েরি-সহ তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে। একইসঙ্গে মৃত বিজেপি প্রার্থীর পরিবারের তরফেও হলফনামা জমা নেওয়া হবে ওইদিন। পুলিশ ওই বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে গিয়ে যে ভিডিয়ো ফুটেজ সংগ্রহ করেছে, তার ভিত্তিতে হলফনামা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর-১ ব্লকের দড়িকাওয়াডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়েছিলেন ভোলানাথ মণ্ডল। অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর উপর হামলা চালায়। প্রথমে স্থানীয় এক হাসপাতালে, পরে ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন গুরুতর জখম ভোলানাথ। পরবর্তীতে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর।