এবার থেকে ইলেকট্রিক মিটার থাকলে তবেই মিলবে পানীয় জল। পরিশ্রুত জল নিয়ে এমনই সিদ্ধান্ত নবান্নর। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর সূত্রে যে তথ্যা সামনে আসছে তাতে দেখা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত গ্রামীণ এলাকার ৩৪.৪২ শতাংশ বাড়িতে পরিশ্রুত পানীয় জল দেওয়া হয়েছে।আর বাড়ি বাড়ি পানীয় দল পৌঁছে দেওয়ার কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে ২০২৪ সালের মধ্যে।নির্বাচনী প্রচারেও এই কথা বলেছিল তারা। সেই অনুযায়ী কাজ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। গ্রামীণ এলাকায় একটি বাড়িতে একটি জলের সংযোগ দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সিদ্ধান্তের কথা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের পক্ষ থেকে প্রতিটি জেলা প্রশাসনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আর এখানেই রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত, যাঁর নামে ইলেকট্রিক মিটার তাঁর নামে বাড়িতে পরিশ্রুত পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হবে। পাশাপাশি এও জানা গেছে, বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের সংযোগ দেওয়ার সঙ্গে পরিশ্রুত জলের গুণগত মান পরীক্ষা করা হবে। একটি বাড়িতে একটি পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হবে। জলের খরচ কমাতে এবং অপচয় বন্ধ করতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। একটি বাড়িতে একটি ইলেকট্রিক মিটার দেওয়া হয়। তাই সেই নথি অনুযায়ী একটি জলের সংযোগ দেওয়া হবে। এই কাজে গতি আনতে ইতিমধ্যে বৈঠক শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রী পুলক রায়। এই বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবও সংশ্লিষ্ট দফতরের অফিসার এবং জেলাশাসকদের নিয়ে বৈঠক করেছেন বলে সূত্রের খবর। যত দ্রুত সম্ভব এই কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এই প্রকল্পে ৫০ শতাংশ অর্থ খরচ করে রাজ্য সরকার। বাকি ৫০ শতাংশের টাকা দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। মোট ৫৮ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা। কাজে আরও গতি আনতে চাইছে রাজ্য সরকার।