তৃণমূল ভবনে ডাক পড়তেই অবস্থান বদলালেন মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে শনিবার তলব করা হয়েছে। সঙ্গে তৃণমূল সূত্রে এও জানা গেছে, মুর্শিদাবাদের নেতৃত্বকে নিয়ে এদিন বৈঠক করবে রাজ্য নেতৃত্ব। সেখানেই হুমায়ুনকেও আসতে বলা হয়েছে। এই বৈঠকে সুব্রত বক্সি, ফিরহাদ হাকিম থাকবেন। কারণ, গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকবার ‘বেসুরো’ হয়েছেন হুমায়ুন কবীর। এমনও শোনা গিয়েছে, দল ছাড়তে পারেন আবারও। নতুন দল করতে পারেন, এমন জল্পনাও শোনা গিয়েছে। বঙ্গ রাজনীতির কেউ কেউ এমনটাও বলেছেন, কংগ্রেসের সঙ্গে ‘সখ্যতা’ বাড়াতে চাইছেন হুমায়ুন। অধীর চৌধুরীর সঙ্গে তলে তলে যোগাযোগও রাখছেন, এমন তত্ত্বও শোনা গিয়েছে। যদিও কোনওটিই স্বীকার করেননি হুমায়ুন কবীর। বলেছেন, ‘তৃণমূলে আছি, তৃণমূলেই থাকব।‘
এরই পাশাপাশি শুক্রবার ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর এও জানান, ‘উচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গে আমার কোনওদিন সমস্যা ছিল না। শোকজের জবাবও দিয়েছি। আর নতুন দল করার কোনও প্রশ্নই নেই।’ একইসঙ্গে অধীর- যোগের কথা উঠতেই হুমায়ুন স্পষ্ট ভাষায় জানান, ‘অধীর চৌধুরীর সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। কেউ কেউ এ নিয়ে মিথ্যা রটাচ্ছে। অথচ জেলার বেশ কিছু তৃণমূল নেতা অধীরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে।’
একইসঙ্গে হুমায়ুন এও জানিয়েছেন, ‘দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আমার কোনও সংঘাত ছিল না বা নেইও। যা সমস্যা হয়েছিল ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের টিকিট বণ্টন নিয়ে। যে বিধানসভার আমি নির্বাচিত সদস্য, সেখানে ২০২১ সালে যাঁরা খেটে দলকে জিতিয়েছিলেন, তাঁদের সরিয়ে রেখে টিকিট বণ্টন করা হয়েছিল। তাতেই জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে আমার সংঘাত। এরপর সুব্রত বক্সি আমাকে একটি শোকজের চিঠি দেন। গত ২৯ জুলাই তা হাতে পাই। ১ অগস্ট তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করি। জবাবও দিয়েছি।’
তবে এখানে পুরনো রেকর্ড ভুলে গেলে চলবে না। হুমায়ুন কবীরের দল বদলের রেকর্ড আছে। কংগ্রেস, তৃণমূল, কংগ্রেস, বিজেপি, তৃণমূল-বাদ যায়নি কোনওটাই। বঙ্গ রাজনীতির একাংশ এরকম বলেই থাকেন, পোশাক বদলানোর মতো করে দল বদল করেন হুমায়ুন কবীর। সেই হুমায়ুন আবারও দল বদল করছেন বলে জোর জল্পনা শুরু হয় সম্প্রতি। ভোটের মুখে বারবার দলের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় তাঁকে।