সমস্ত জাতীয় সড়কের বেআইনি কাট আউট অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। যাতে নতুন করে যাতে জাতীয় সড়কে কোনও বেআইনি কাট আউট তৈরি না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে রাজ্য প্রশাসনকে এমনই নির্দেশ দিল আদালত। ডালখোলার জাতীয় সড়ক মামলার পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় সড়কে বেআইনি কাট আউট নিয়ে এমনই রায় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। একই সঙ্গে পথচারীদের বৈধ আন্ডারপাস ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়। এবার জাতীয় সড়কে বেআইনি কাট আউট নিয়ে কড়া কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার আদালতে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ এও জানায়, বেআইনি কাট আউটের কারণে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বাড়ে। আর এরই প্রেক্ষিতে কাট আউট নিয়ে আদালতের এই কঠোর অবস্থান নিঃসন্দেহে তাৎপর্যূপূর্ণ বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
উল্লেখ্য, দুর্ঘটনা এড়াতে সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ কর্মসূচি চালু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কর্মসূচি চালু হওয়ার পর দুর্ঘটনার সংখ্যা কমলেও গাড়িচালকদের বেপরোয়া মনোভাবে পুরোপুরি রাশ টানা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে রাজ্যে থাকা জাতীয় সড়কগুলির হালও বেহাল। জাতীয় সড়কে কোথাও বেআইনি জবরদখল, কোথাও আবার ট্রাফিক বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলছে যান চলাচল। বাড়ছে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা। কখনও কখনও ঘটে যাচ্ছে দুর্ঘটনাও।
জাতীয় সড়কে বেআইনি জবরদখল বা এদিকে বেআইনি যানচলাচল নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে পুলিশের উপরই দায় চাপায় জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। কারণ, হাওড়া জেলায় বিস্তীর্ণ অংশ জুড়ে রয়েছে মুম্বই রোড। বালির মাইতিপাড়া থেকে কোলাঘাট অবধি ৬০ কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে বিস্তার এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার। এই জাতীয় সড়কেই যান চলাচলের জন্য প্রচুর ‘মেডিয়ান কাট’ থাকা সত্ত্বেও রাস্তার উপর বেশ কিছু বেআইনি কাট বানানোর অভিযোগ উঠেছে। এমনকী বিভিন্ন কারখানার সামনেও তৈরি করা হয়েছে বেআইনি কাট। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কারখানাগামী লরিগুলি যাতে সহজেই মোড় নিতে পারে সেই কারণে মালিকদের একাংশর মদতেই ওই কাট তৈরি করা হয়েছে।