ধর্মতলা থেকে বাস টার্মিনাল সরানোর কথায় পরিবহণ মালিকরা যে মোটেই খুশি নন তা জানানো হয় বেসরকারি বাস পরিবহণ সংগঠনের তরফ থেকে। এবার বাস টার্মিনাসের বিকল্প কী হতে পারে, তা বাস মালিকদেরই জানাতে বলল পরিবহণ দফতর। সোমবার বিকালে বাস, মিনিবাস, দূরপাল্লার বাস মালিকদের সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে বৈঠক হয়। কসবায় পরিবহণ দফতরের আধিকারিকরা এই বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে বাস মালিকরা জানান, ধর্মতলার বিকল্প কী হতে পারে সে বিষয়ে বিভিন্ন রুটকে প্রস্তাব জমা দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, ধর্মতলায় বাস না দাঁড়িয়ে একবার চক্কর কেটে তা আবার গন্তব্যের দিকে ফিরে যাওয়া নিয়ে সরকারের আধিকারিকেরা আলোচনা করেন। এখানে বাস মালিকদের বক্তব্য, বাস শ্রমিকেরা দীর্ঘ পথ গাড়ি চালিয়ে শৌচালয়ের সময়ও যদি না পান তাহলে তা অমানবিক চিন্তাভাবনা।
একইসঙ্গে ধর্মতলা থেকে বাসস্ট্যান্ড সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হলে, তা যে যাত্রীরা মোটেই মন থেকে মানতে পারবেন না এদিনের বৈঠকে তাও স্পষ্ট ভাষাতেই বুঝিয়ে দেন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য রাখতে গিয়ে পরিবহণ দফতরের আধিকারিকদের কাছে এ প্রশ্নও তোলেন, ধর্মতলায় এসে বাস ধরার যে সুবিধা, অন্য জায়গায় সেই সুবিধা কি আদৌ মিলবে কি না তা নিয়েও। ট্রেন, মেট্রো, সড়ক পথ কিংবা জলপথ, ধর্মতলাকে যেভাবে সংযুক্ত করে আর কোথাও এই রকম সংযোগ পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়েও এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়। কারণ, ধর্মতলা আদতে শহরের প্রাণকেন্দ্র। সেখান থেকে বিকল্প টার্মিনাস এমন কোথাও করতে হবে, যেখানে গেলে যাত্রী পরিষেবা ব্যাহত হবে না। শুধু তাই নয়, এদিন বাস মালিকদের তরফ থেকে এও জানানো হয় যে, আদালতের নির্দেশকে সম্মান জানিয়ে তাঁরা সহযোগিতার হাত বাড়াতে প্রস্তুত। তবে তার জন্য সরকারকেও বাস মালিকদের কথা ভাবতে হবে।