সংঘাতের আবহ ভুলে রাজভবনের তরফে স্টেট রিসেপশনে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপাল

সংঘাতের আবহ ভুলে মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় রাজভবনের তরফে ‘স্টেট রিসেপশন’-এর আয়োজন করা হয়। সেই আমন্ত্রণ রক্ষায় রাজভবনে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও একাধিক পদস্থ আমলা, কলকাতার পুলিশ কমিশনার, রাজ্য পুলিশের ডিজি উপস্থিত ছিলেন রাজভবনে। আমন্ত্রিতের তালিকায় রয়েছেন বিভিন্ন বিশিষ্টজনও।

প্রসঙ্গত, সোমবার স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে বক্তব্য রাখার সময়েও রাজ্যপালকে খোঁচা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের আবহ চরমে পৌঁছেছে। শুধু শিক্ষাক্ষেত্রেই সংঘাত নয় পাশাপাশি নবান্নের পাঠানো বন্দিমুক্তির তালিকা নিয়েও সংঘাতের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। আর এসবের মধ্যেই রাজভবনে বাংলার প্রশাসনিক প্রধান ও সাংবিধানিক প্রধানের সাক্ষাতের পর পরিস্থিতি কিছুটা মসৃণ হয় কি না, সেই দিকেই নজর ওয়াকিবহাল মহলের।

প্রসঙ্গত, এদিন রাজভবনের ভিতরে ঢোকার সময় মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, ‘তোমাদের নিমন্ত্রণ করেছে খেতে? খাবার দিয়েছে?’ এরপরই কিছুটা অবাক হওয়ার মতো করে মুখভঙ্গি করে ভিতরের দিকে এগিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সন্ধে ছ’টার কিছু আগে রাজভবন থেকে বেরোন মমতা। তখনও কোনও মন্তব্য করতে চাননি মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘আজ কিছু বলব না। স্বাধীনতা দিবস। সকলকে শুভেচ্ছা।’

উল্লেখ্য, ধনখড় পরবর্তী জমানাতেও রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের আবহ রয়ে গিয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের সময়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তির অভিযোগ নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন রাজ্যপাল বোস। রাজভবনে পিস রুমও খোলার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। পঞ্চায়েত ভোটের সময়ে যেখানে অশান্তির অভিযোগ উঠেছে, সেখানেই পৌঁছে গিয়েছেন তিনি। রাজভবনের এই সক্রিয়তায় তৃণমূলের অনেক নেতাই বাঁকা মন্তব্য করেছেন। শুধু তাই নয়, রাজ্য বিধানসভার বিভিন্ন বিল রাজভবনে আটকে রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম আচার্য বিল। তার উপর আবার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে রাজভবনের যে পদক্ষেপ, তা নিয়েও বেশ অসন্তুষ্ট রাজ্য সরকার। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও বিভিন্ন সময়ে রাজ্যপালের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরাসরি মুখ খুলেছেন। এমন অবস্থায় স্বাধীনতা দিবসের দিন রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাতের পর জল কোন দিকে গড়ায়, সেই দিকেই নজর ওয়াকিবহাল মহলের।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × four =