আসছে না ইউজিসি প্রতিনিধি দল

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসির প্রতিনিধি দল বুধবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছে না, এমনটাই জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী উপচার্য অমিতাভ দত্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে দাবি করা হয়, র‌্যাগিং নিয়ে কর্তৃপক্ষের দেওয়া রিপোর্ট সন্তুষ্ট ইউজিসি।

র‌্যাগিংয়ের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ামৃত্যুর অভিযোগের তদন্ত নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছিল ইউসিজি। রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে দেওয়া রিপোর্ট পেয়ে সন্তুষ্ট ইউজিসি। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে দেওয়া তথ্যে সন্তুষ্ট হওয়ার কারণে না আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউজিসির প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। উল্লেখ্য, র‌্যাগিং নিয়ে ইউজিসির নির্দেশিকা থাকা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কেন কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি তা জানতে চেয়েছিল ইউজিসি।

অন্যদিকে এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল প্রশাসনিক দফতর অরবিন্দ ভবনের সামনে বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য। তাঁদের শারীরিক স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন তিনি। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানও ছিল অন্যান্যবারের তুলনায় সংক্ষিপ্ত। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে অনুষ্ঠান শেষ হয় বলে জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রাক্তনীসহ দুই পডু়য়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ছাত্র, শিক্ষক, প্রশাসনিক আধিকারিক থেকে শুরু করে হস্টেলের রাঁধুনি সকলেই পুলিশের প্রশ্নের মুখে পড়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও ছয় পড়ুয়াকে থানায় তলব করা হয়েছে। সোমবার যাদবপুর মেইন হস্টেলে যায় পুলিশের বিশাল বাহিনী। এই ঘটনার পুনর্নিমাণ করা হয়। সেখান থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে পুলিশ। একই সঙ্গে প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলা হয়।

সোমবার এক অনুষ্ঠান থেকে পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বামেদের তীব্র আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে এই ঘটনার তদন্তে পুলিশ যে কঠোর তাও বুঝিয়ে দেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তিনি বলেন, ‘যাদবপুরের মতো বিশ্ববিদ্যালয় এখন আতঙ্কপুরে পরিণত হয়েছে। এক পড়ুয়ার মৃত্যু হল, তাঁকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। মার্কসবাদীরা এই সব কাজ করছে। সিসিটিভি ক্যামেরা বসালেও এদের আপত্তি। পড়াশোনায় ভালো হলেই ভালো মানুষ হওয়া যায় না। এই কারণে আমি অন্য সব জায়গায় গেলেও যাদবপুরে যেতে চাই না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine + three =