যেখানে একটি মামলা বিচারাধীন, সেখানে আরেকটি মামলার আবেদন কীভাবে এই ইস্যুতেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন অভিষেকের আইনজীবী। সূত্রের খবর, নতুন আবেদনে ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ কোম্পানির তল্লাশি পর্বে সিজার লিস্টে যাবতীয় তথ্য সামনে আনার কথা বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসে সম্প্রতি অভিযান চালায় ইডি। ইডির প্রেস রিলিজ অনুযায়ী, সেখানে থেকে রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের তিনটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট-স্টেটমেন্ট বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারী অফিসাররা। সংস্থার ওই অফিসের তিনটি কম্পিউটারের নথি খতিয়ে দেখে একটি হার্ড ডিস্কও বাজেয়াপ্ত করেন গোয়েন্দারা।
ইডি-র প্রেস রিলিজে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস কোম্পানির সিওও অর্থাৎ চিফ অপারেটিং অফিসার হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০১২ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৬ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র ওই কোম্পানির ডিরেক্টর ছিলেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও ওই কোম্পানিতে ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ডিরেক্টর ছিলেন। কিন্তু লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে তিনি এখনও সিইও রয়েছেন বলে প্রেস রিলিজে দাবি করেছে ইডি। অভিষেক এখনও ওই কোম্পানির সিইও।
এদিকে গত মঙ্গলবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি ছিল। তাতে বিচারপতি সিনহা ইডি-র কাছে জানতে চান, ‘কেন এখনও অভিষেককে সমন পাঠানো হচ্ছে না?’ অনেকেই মনে করছেন বিচারপতির এই পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
উল্লেখ্য, অভিষেকের নামে এই সংক্রান্ত একটি মামলা অন্য এজলাসে বিচারাধীন। সেই মামলায় অভিষেকের রক্ষাকবচ চেয়ে আবেদন করেছিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে। সেই মামলা বিচারাধীন। তার মধ্যেই এই সংক্রান্ত আরও একটি মামলায় অভিষেকের বিরুদ্ধে সমন জারি করা যেতে পারে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।