আবহাওয়া পূর্বাভাস ছিলই যে বৃষ্টিতে ভাসবে ক্যান্ডিতে এশিয়া কাপে ভারত -পাক দ্বৈরথ। হলও তাই। ভারতীয় দল ব্যাটিংয়ের পর পাকিস্তান ব্য়াট করতে নামার আগেই ম্যাচ ভেস্তে গেল বৃষ্টিতে। ভারতীয় দল যখন ব্যাট করেছে তখনও বারবার এই বৃষ্টির জন্যই ছন্দপতন ঘটে ম্যাচের। ভারতের পরবর্তী ম্যাচ নেপালের সঙ্গে। তবে এদিনের ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ায় সুবিধা হল পাকিস্তানের। সুপার ফোরে প্রবেশ করল তারা।
তবে এদিন যে খেলা ভারতের দেখা গেছে তাতে মন ভরেনি বারতীয় সমর্থকদের। শনিবার ৪৮.৫ ওভারে ২৬৬ রানে অলআউট হয় ভারত। ইশান কিষাণের ৮২ ও হার্দিক পান্ডিয়ার ৮৭ রানের দৌলতে স্কোরবোর্ডে লড়াই করার মতো পুঁজি তোলে ভারত। ক্যান্ডির ভিজে আবহাওয়ার সুবিধে পুরো তোলে পাক পেসাররা। আর তার নিট ফল, পাকিস্তানের পেসারদের দখলে যায় সবকটি উইকেট। শাহিন ঝুলিতে জমা পড়ে ৪ উইকেট। পাশাপাশি নাসিম শাহের দখলে ৩ এবং হ্যারিস রউফের দখলেও যায় ৩ উইকেট।
এদিন টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তবে শুরুতেই কিন্তু মোটেই সুবিদা করতে পারেনি ভারতের ব্যাটসম্যানেরা।পাক পেসারদের সামনে বড়ই নড়বড়ে লাগছিল তাঁদের। শাহিন আফ্রিদিকে খেলতে ভারত অধিনায়ক একটু সমস্যাতেই পড়ছিলেন যেন। পঞ্চম ওভারে একটা আউটসুইং ডেলিভারির পরের বলই ইনস্যুইং করে ভিতরে ঢোকাতেই অফস্টাম্প ছিটকে যায় রোহিতের। রোহিতের নামের পাশে তখন মাত্র ১১ রান। এরপর আরও এক বড় ধাক্কা অপেক্ষা করছিল ভারতীয় টিমের জন্য। বিরাট কোহলিকেও ফেরালেন শাহিন আফ্রিদি। ৭ বলে ৪ রান করে আউট হন কোহলি।
এরপর মাঠে আসেন শ্রেয়স আইয়ার। চোট সারিয়ে এশিয়া কাপে প্রত্যাবর্তন করা শ্রেয়সের দিকে তাকিয়ে তখন ভারতীয় সমর্থকরা।তবে প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে হতাশ-ই করলেন শ্রেয়স। অবদান বলতে ৯ বলে ১৪ রান। রউফের বলে ফখর জামানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ড্রেসিং রুমের দিকে হাঁটা দেন তিনি। দলীয় ৫০ রানে আগেই তিনটি উইকেট হারায় ভারত। ১১.২ ওভারে ভারতের স্কোর যখন ৫১-৩ তখনই ফের ঝেঁপে বৃষ্টি নামে। বৃষ্টি বিরতির পর ম্যাচ শুরু সময় ক্রিজে শুভমন গিল এবং ঈশান কিষাণ।শুভমনও অগ্রজদের পথই অনুসরণ করে ৩২ বলে ১০ রান করে আউট হন হ্যারিস রউফের বলে। তখন স্কোরবোর্ড দেখে ভারতীয় সমর্থকদের কপালে ভাঁজ। কারণ, ১৬.৩ ওভারে ৭১ রান তুলতে গিয়ে ৪ উইকেট খুইয়ে বসেছে ভারত।
এরপর ভারতের ইনিংসের হাল ধরতে দেখা যায় ইশান কিশান আর হার্দিক পাণ্ডিয়াকে। চাপের মুখে অনবদ্য এক ইনিংস খেললেন ঈশান কিষাণ। মাত্র ৫৪ বলে অর্ধশতরান করেন তিনি। এদিকে ৬২ বলে অর্ধশতরান হার্দিক পান্ডিয়ার। হার্দিক-ঈশান জুটিতে পঞ্চম উইকেটে যোগ হয় ১১১ বলে ওঠে ১০০ রান। এদিকে হার্দিক এবং কিশানের দাঁত কামড়ে পড়ে থাকার এই চেষ্টার জেরে ৩৪ ওভারে ভারতের স্কোর গিয়ে দাঁড়ায় ১৭৮-এ।এরপর দুজনের যুগলবন্দিতে ভারত ২০০ রানের রান পার করে। তবে ৮২ রানে ফিরতে হয় ইশানকে আর ৯০ বলে ৮৭ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন হার্দিক। তাঁর ৮৭রানের ইনিংসে রয়েছে ৭টি চার ও ১টি ছয়। হার্দিক প্যাভলিয়নে ফেরার সময় ৪৩.২ ওভারে ভারতের রান ২৪২।
অবশেষে ভারতের ইনিংস শেষ হয় ২৬৬ রানে। ইশান কিষাণের ৮২ ও হার্দিক পান্ডিয়ার ৮৭ রানের দৌলতে স্কোরবোর্ডে লড়াই করার মতো পুঁজি নিয়ে পাকিস্তানকে চ্যালেঞ্জ জানায় ভারত। এরপরই শুরু হয় বৃষ্টি।