পার্থ এসেছেন জেনে আদালতেই সঙ্গে দেখা করলেন শোভন

একজন প্রাক্তন মেয়র, অপরজন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। দুজনেই আজ দলের কাছে অতীত। অথচ দেখা হতেই বোঝা গেল দুজনের মধ্যে বন্ধন অটুট। শনিবার বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় মাঝে মধ্যেই কোর্টে যেতে হয় শোভন চট্টোপাধ্যায়কে।এদিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় হেফাজত শেষ হলেই আদালতে হাজির হতে হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শনিবার আদালত থেকে বেরিয়ে গিয়েও ‘পার্থদা’ এসেছেন শুনে ছুটলেন দেখা করতে। গাড়িতে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে বসিয়ে রেখেই আদালতের লক আপের কাছে চলে যেতে দেখা যায় শোভনকে। কাছাকাছি যেতে না পারলেও দূর থেকেই দেখে এলেন দীর্ঘদিনের সহকর্মী ‘পার্থ দা’-কে। এই ব্যাপারে কোনও বিতর্ককে আমল দিতে চাইছেন না প্রাক্তন মেয়র। তাঁর দাবি, না দেখা করলেই অপরাধ হতো।

সূত্রে খবর, এদিন জেল হেফাজত শেষে আদালতে পেশ করা হয়েছিল পার্থকে। তাঁর মামলার শুনানিও শেষ। এদিকে, সেই সময় আদালত থেকে বেরিয়ে গাড়িতে উঠে পড়েছেন শোভন-বৈশাখী। সাংবাদিকদের ভিড় দেখে খোঁজ খবর নিয়ে শোভন জানতে পারেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাজিরা ছিল। গাড়ি এগিয়ে যাওয়ার পরও থেমে যায়। বৈশাখীকে রেখেই গাড়ি থেকে নেমে যান শোভন। কেন ওভাবে কোর্ট ইন্সপেক্টরের অফিসে ঢুকে গেলেন পার্থর সঙ্গে দেখা করতে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

দেখা করে বেরিয়ে শোভন জানান, ‘দাদার মতো’ পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে পরিস্থিতির শিকার তেমনটাই মন্তব্য করেছেন তিনি। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, এত কাছে এসে না দেখা করলে, সেটা ঠিক হত না। এছাড়া পার্থকে অভিযুক্ত বলে মেনে নিলেও দোষ যে প্রমাণিত হয়নি, সে কথা মনে করিয়ে দিয়েছে শোভন। তবে তিনি জানান, ভিতরে গেলেও দূর থেকেই দেখা করেছেন। তবে এনিয়ে মুখ খুলতে রাজি নয় তৃণমূল।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 − two =