মেঘভাঙা বৃষ্টি, হড়পা বান, ভূমিধসে এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল হিমাচল প্রদেশে। সেখান থেকে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে হিমাচল। কংগ্রেস শাসিত হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, পর্যটকদের জন্য হিমাচল প্রদেশ এখন নিরাপদ। আর এসবের মধ্যেই এবার হিমাচল প্রদেশের সরকারকে বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য এক কোটি টাকা অর্থ সাহায্য পাঠাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় একথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম শরিক দল কংগ্রেসের তরফে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে একটি চিঠি পাঠান সনিয়া গান্ধি। সংসদের বিশেষ অধিবেশনে বিরোধীরা কী কী বিষয়ে আলোচনা চাইছে, তা চিঠিতে তুলে ধরেন সনিয়া। সেখানেও বিভিন্ন রাজ্যের সাম্প্রতিক বিপর্যয়ের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার দাবিও তোলেন তিনি। হিমাচলের প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি প্রতিভা বীরভদ্র সিংও ইতিপূর্বেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে দরবার করেছেন, যাতে হিমাচলকে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে এটিকে দুর্যোগ-বিধ্বস্ত রাজ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এমন অবস্থায় ইন্ডিয়া জোটের বন্ধু দল কংগ্রেস পরিচালিত হিমাচল প্রদেশের পুনরুজ্জীবনের জন্য আর্থিক সাহায্য ঘোষণা মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের।
এখানে বলে রাখা শ্রেয় হিমাচলের অর্থনীতির একটি বড় অংশ নির্ভর করে পর্যটনের উপরে। হিমাচলের জিডিপির সাত শতাংশ নির্ভর করে পর্যটনের উপর। রাজ্যের প্রায় সাড়ে ১৪ শতাংশ কর্মসংস্থান প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পর্যটনের উপর নির্ভরশীল। সেই জায়গায় এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে জোর ধাক্কা খেয়েছে হিমাচল। তবে কাসৌল, কিন্নর, সিমলার মতো জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রগুলিকে বর্তমানে ভ্রমণের জন্য নিরাপদ বলে ঘোষণা করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। ডালহৌসি, ম্যাকলয়েডগঞ্জ, ধর্মশালা, চম্বা, পালামপুরও পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।