ধূপগুড়ির উপনির্বাচনে জয়কে ঐতিহাসিক বলে জানালেন মমতা

জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে দিল্লিতে যাওয়ার পথে ধূপগুড়ির উপনির্বাচনে জয় নিয়ে  যে খুশি তা বোঝা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যেই। এই জয়ের খবর পেতেই টুইট করতে দেখা যায় তৃণমূল সুপ্রিমোকে। এদিনের এই জয় মানুষের জয় বলেই জানান তিনি। টুইটে তিনি এও লেখেন, ‘ধূপগুড়ির মানুষ আমাদের ওপর বিশ্বাস রেখেছেন এবং আমাদের সমর্থনে তাঁদের জনাদেশ দিয়েছেন। সেজন্য আমি তাঁদের আন্তরিক ধন্য়বাদ জানাই। উত্তরবঙ্গের মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছেন এবং মা-মাটি-মানুষের সরকার যে ভাবে উন্নয়ন, সামাজিক কল্যাণ এবং ক্ষমতায়ণের সমন্বয় ঘটাচ্ছেন তাতে বিশ্বাস করেন। বাংলা তার মত জানাল এবং শীঘ্রই গোটা দেশও তার পছন্দ জানিয়ে দেবে।’

একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন, গোটা উত্তরবঙ্গ তৃণমূলের সঙ্গে। দার্জিলিং থেকে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, দিনাজপুর সকলেই তাঁদের সঙ্গে। ধূপগুড়ির উপভোটকে ‘ঐতিহাসিক’ বলেও মন্তব্য করেন মমতা। একইসঙ্গে ধূপগুড়ির মানুষের প্রতি মমতার বার্তা, ‘আমি ধূপগুড়ির মানুষকে অনেক অভিনন্দন জানাই। চাবাগান থেকে রাজবংশী সম্প্রদায়, সকলে যেভাবে তৃণমূলকে সমর্থন করেছেন। লোকসভায় বিজেপির প্রায় ১৯ হাজার লিড ছিল এই আসনে। এটা ওদের একটা শক্ত ঘাঁটি।’ একইসঙ্গে মমতা কটাক্ষ করে এদিন এও বলেন, ‘ওদের মিনিস্টার, নেতারা এক মাস ধরে পড়েছিলেন ওখানে। প্রতিটা হোটেল বুক ছিল। একটা জায়গা ছিল না যেখানে কেউ যেতে পারে। আমি মনে করি এটা উত্তরবঙ্গে বড় জয়। সারা বাংলার জয়।’

দেশের ৬ রাজ্যের মোট ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রে এদিন উপনির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়। এরমধ্যে তিনটিতে জিতেছে বিজেপি, বাকিগুলি বিরোধীরা। এই জয়কে ইন্ডিয়া জোটের জয় বলে মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী বছর লোকসভা ভোট। তার আগে দেশজোড়া এই উপনির্বাচনকে অ্যাসিড টেস্ট বলেই মনে করছে এনডিএ বিরোধী জোট ইন্ডিয়া। সেখানে এই ফলাফলকে আলাদা গুরুত্বও দিচ্ছে ইন্ডিয়ার শরিকরা।

পশ্চিমবঙ্গের ধূপগুড়ি ছাড়াও উত্তরপ্রদেশের ঘোসি, উত্তরাখণ্ডের বাগেশ্বর, কেরলের পুথুপল্লি, ঝাড়খণ্ডের দুমরি এবং ত্রিপুরার ধানপুর ও বক্সানগরে বিধানসভা উপনির্বাচন হয়েছে। এখনও অবধি যা খবর, তাতে ত্রিপুরার ২টি আসন বিজেপি জিতেছে। বাগেশ্বর জিতেছে বিজেপি। তবে পুথুপল্লি জিতেছে ইউডিএফ। দুমরিতে জয় হয়েছে জেএমএমের। উত্তর প্রদেশের ঘোসিতে জয়ী সমাজবাদী পার্টি।

এই প্রসঙ্গে মমতা এদিন জানান, ‘সারা ভারতবর্ষে যে ভোট হয়েছে। সম্ভবত ৭টা জায়গায় ভোট হয়েছে। তাতে বিজেপি ৪টেয় হেরেছে। উত্তর প্রদেশের মতো জায়গাও হেরেছে। জিতেছে যে তিনটে তার মধ্যে ২টো ত্রিপুরা। কাউকে লড়তেই দেয় না। মাত্র ২টো লোকসভা কেন্দ্র। এ নিয়ে হাসির কোনও কারণ নেই। এটা ইন্ডিয়া টিমের বড় জয়। এভাবেই আসতে আসতে মানুষ সিদ্ধান্ত নিক, আমি এটাই চাই।’

প্রসঙ্গত, শুক্রবারই ধূপগুড়ি বিধানসভার উপনির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়। একুশের ভোটে যে আসন জিতেছিল বিজেপি, উপনির্বাচনে তা হাতছাড়া হয়েছে তাদের। ধূপগুড়ি এবার তৃণমূলের।

একইসঙ্গে এদিন বাংলা দিবস নিয়েও তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, বৃহস্পতিবারই বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস হিসাবে পয়লা বৈশাখের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। মমতার কথায়, ‘এটা রেজোলিউশন। ন্যাচারালি এটা কারও কাছে যাবে না। জাস্ট ইনফরমেশনটা আমরা পাঠিয়ে দেবো। এটা গতকালই দুই তৃতীয়াংশ ভোটে পাশ করেছি। বাংলার মাটি, বাংলার জলের জয়।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − 5 =