রুটি বেশি খাওয়ার সমস্যা

ওজন কমাতে ডায়েটের পরিবর্তন জরুরি। আর এই ওজন কমানোর জন্য ভাত বা রুটি কোনটা খাওয়া উচিত বা কোনটা খাওয়া উচিত নয় এই নিয়ে নানা মত রয়েছে। অনেকের মতে, ভাতের পরিবর্তে রুটিতে ক্যালোরি অনেক কম। রোজ তিনবেলা শুকনো রুটি খেলে ওজন কমবে। তবে, এই ধারণা একেবারে ভুল।

ডায়েটিশিয়ানরা জানাচ্ছেন, ভাত আর রুটির মধ্যে সমান পরিমাণ ক্যালোরি থাকে। একটা রুটি এক কাপ ভাতের সমান। ওজন কমানোর জন্য দুই ই ডায়েটে রাখা যেতে পারে। তবে দিনে-রাতে সবসময় রুটি খাওয়াও ঠিক নয়। কারণ, আটার রুটিতে গ্লুটেন নামক একটি উপাদান থাকে। এই উপাদান শরীরে অত্যধিক পরিমাণে পৌঁছে গেলে সেলিয়াক ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তার সঙ্গে গ্যাস, অম্বলের সমস্যা লেগে থাকে। অনেকে রুটি খান কোষ্ঠকাঠিন্য এড়ানোর জন্য। তবে দিনের পর দিন রুটি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। হতে পারে গ্যাস্ট্রিকের মত অসুখও।

মনে রাখতে হবে রুটির মধ্যেও কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেশি থাকে। আর তাই দিনের পর দিন বেশি রুটি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর তাই রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে যখন-তখন রুটি খাওয়া ঠিক নয়।  অনেকে আবার রুটিতে ঘি মাখিয়ে খান। গরম রুটিতে ঘি, মাখন মাখিয়ে চিনি ছড়িয়ে খেতে বেশ লাগে। তবে দিনের পর দিন রুটি মিষ্টি, ঘি-রুটি এসব খেলে ওজন বাড়বেই।

এদিকে বেশি রুটি খেলে শরীরে অতিরিক্ত গ্লুটেন প্রবেশের জেরে স্নায়ুর সমস্যা হতে পারে। স্নায়ুর প্রদাহ, হাঁটুতে ব্যথা, জ্বালা ভাব, স্নায়ুর প্রদাহ নানা কিছু হতে পারে। আর তাই অতিরিক্ত রুটি খাওয়ার অভ্যাস আজই ছাড়ুন। পরিবর্তে ওটস, মিলেটের রুটিও বানিয়ে খেতে পারেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 − four =