ডিভিসি যে ভাবে জল ছাড়তে শুরু করেছে তাতে বন্যার আশঙ্কায় দিন গুনছে বাংলার একাংশ। সূত্রে খবর, প্রথম দফাতেই ১ লক্ষ কিউসেক জল ছেড়েছে ডিভিসি। নিম্নচাপের জেরে ঝাড়খণ্ডে প্রবল বর্ষণ। পরিস্থিতি সামলাতে পাঞ্চেত, মাইথন ড্যাম থেকে জল ছাড়া শুরু হয়েছে। সোমবার রাত ৯টায় জল পৌঁছবে দুর্গাপুর জলাধারে। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, নিম্নচাপ এখনও ঝাড়খণ্ডেই রয়েছে। তার গতি খুবই ধীর। সহজে দুর্বলও হবে না নিম্নচাপ। ফলে আরও অন্তত ৩-৪ দিন প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে তবে কি পুজোর আগে বন্যার কবলে পড়বে বাংলার একাংশ।
এদিকে, টানা বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত ঝাড়গ্রাম। ক্রমাগত বাড়ছে ডুলুং নদীর জল। এদিকে ঝাড়গ্রাম জেলা সদরের সাথে জামবনি ব্লকের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। রাস্তায় লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে লরি। জামবনি ব্লকের চিল্কিগড়ে ডুলুং নদীর উপর থাকা কজওয়ের উপর দিয়ে বইছে জলের স্রোত।আর এই রাস্তার উপর দিয়েই পণ্যবাহী লরি যাতায়াত করে ভিনে রাজ্যে। ওড়িশা-ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা থমকে যাওয়ায় সমস্যায় সাধারণ মানুষ।
এদিকে আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, বর্ষার শেষে যদি ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হয়, তাহলে সেটা খারাপ ইঙ্গিত। কারণ নদীগুলিতে এ সময় জল বেশিই থাকে, তারওপর ভারী বৃষ্টিতে জল। আর এদিকে নিম্নচাপ এখনই দুর্বল হচ্ছে না। সরছেও না। সোমবারও নিম্নচাপ ঝাড়খণ্ডের ওপরেই রয়েছে। সেখানে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। পাঞ্চেতে তেনুঘাট ড্যাম ও মাইথনে তিন্নাইয়া ড্যাম থেকে জল আসে। দুটো জলাধারের জল যখন এখানে পড়ছে, স্বাভাবিকভাবেই জলস্তর বাড়ছে। নির্দিষ্ট বহন ক্ষমতা পেরিয়ে গেলেই জল ছাড়া হয়। এতটাই এখন জল জমে রয়েছে, যে প্রথম দফাতেই এক লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। সব জল সোমপবার রাতেই দুর্গাপুর ব্যারেজে ঢুকবে। ফলে সেখান থেকেও জল ছাড়া বাড়াতে হবে। সার্বিকভাবে এই দুই ড্যামের জল দামোদর হয়ে নীচে নেমে হাওড়া, উদয়নারায়ণপুর হয়ে চলে আসবে। আবার বাংলায় নদী তীরবর্তী বাঁধগুলোর এমনিই শোচনীয় অবস্থা। ফলে পুজোর আগে বন্যার শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যা্চ্ছে না।