সেতু বিপর্যয়ের সিরিজ চলছে যেন বিহারে। তিন সপ্তাহের মধ্যে ফের ভেঙে পড়ল নির্মীয়মাণ সেতুর একাংশ। শনিবার সে রাজ্যের কিষাণগঞ্জ জেলায় ভেঙে পড়ে নির্মীয়মাণ সেতুর একাংশ। তবে এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। এখানে বলে রাখা শ্রেয়, গত ৪ জুন খাগাড়িয়া জেলায় গঙ্গার উপর ভেঙে পড়েছিল আরও একটি নির্মীয়মাণ সেতু। বারবার নির্মীয়মাণ সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় বিহারে নির্মাণকাজ নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলে দিলেন বিহারের বাসিন্দাদেরই একাংশ। এদিকে ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার প্রজেক্ট ডিরেক্টর অরবিন্দ কুমার এই প্রসঙ্গে জানান, ‘শনিবার মেচি নদীর উপর কিষাণগঞ্জের সঙ্গে কাটিহারকে জুড়তে যে সেতু তৈরি করা হচ্ছিল তার একটি স্তম্ভ ভেঙে যায়। তবে কী কারণে নির্মীয়মাণ সেতুটির একাংশ ভেঙে পড়ল, তা জানা যায়নি।‘ এদিকে বিহার প্রশাসন সূত্রে খবর, পাঁচ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ দল তৈরি করা হয়েছে। ওই দলই দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করবে। এদিকে বিহার প্রশাসনের এক আধিকারিক দাবি করেছেন, মানুষের ভুলেই নির্মীয়মাণ সেতুর একাংশ ভেঙেছে। স্তম্ভ তৈরির কাজে গাফিলতির জেরেই এই কাণ্ড ঘটেছে।
প্রসঙ্গত, গত ৪ জুন ভাগলপুরের সঙ্গে খাগাড়িয়ার মধ্যে সংযোগকারী একটি নির্মীয়মাণ সেতু ভেঙে পড়ে। তবে সেদিনের সেই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। এই প্রসঙ্গে ভাগলপুরের এসডিও ধনঞ্জয় কুমার সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, আগুওয়ানি-সুলতানগঞ্জ সেতুটির নির্মাণকাজ বন্ধ ছিল। সন্ধ্যা সওয়া ৭টা নাগাদ আচমকাই সেতুটির ৩টি স্তম্ভ ভেঙে পড়ে। যার জেরে মুহূর্তের মধ্যে গোটা সেতুটিই গঙ্গার জলে ধসে পড়ে।