আজ আমতলায় চিকিৎসকদের সঙ্গে ‘সমন্বয়’ বৈঠকে অভিষেক

আমতলায় চিকিৎসকদের সঙ্গেসমন্বয়বৈঠকে তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আরজি কর কাণ্ডের পর চিকিৎসকদের সঙ্গে রাজ্য সরকারের যেদূরত্বতৈরি হয়েছিল, তা মেটাতেই এই বৈঠক। চিকিৎসকদের আন্দোলনের পর এই প্রথম চিকিৎসকদের মুখোমুখি অভিষেক।শনিবার হতে চলেছে এই বৈঠক। যার পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছেডক্টর্স সামিট ২০২৪

রাজ্যের স্বাস্থ্যক্ষেত্রের একাধিক বিষয় নিয়ে এই বৈঠকে কথা বলবেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। এদিকে সূত্রে খবর, আমন্ত্রিত চিকিৎসকদের জন্য থাকছে পৃথক প্রবেশপত্র। প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজ থেকে শনিবার আমতলার উদ্দেশে র‌ওনা হবে বাস। হাওড়াশিয়ালদহ স্টেশন থেকেও বাস ছাড়বে আমতলার উদ্দেশে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মডার্ন মেডিসিন, আয়ুষ মিলিয়ে হাজার চিকিৎসকের সভায় যোগদানের সম্ভাবনা।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে সামাজিক মাধ্যমে এই কর্মসূচির পোস্টার ছড়াতে শুরু করে। অভিষেকেরডক্টর্স সামিটঘিরে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ সমীকরণ‌ও তুঙ্গে। ‘ডক্টর্স সামিটের আয়োজক হিসাবে প্রকাশ্যে উল্লেখ শাসকের তরুণ চিকিৎসক ব্রিগেড। একেবারে গোড়ায়ডক্টর্স সামিটের আয়োজক হিসাবে নাম ছিল তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন, হোমিওপ্যাথির চিকিৎসক শেখ মিরাজ‌উদ্দিনের। পরবর্তী ক্ষেত্রে আমন্ত্রণ পত্রের আয়োজক হিসাবে কার্ড থেকে শান্তনু সেনের নাম বাদ পড়ে। পরিবর্তে আয়োজক হিসাবে কার্ডে নাম ছাপা হয় চিকিৎসক অভীক ঘোষের।  কোভিডের সময় ডায়মন্ড হারবারেডক্টর্স অন হুইলসকর্মসূচি রূপায়ণে সামনের সারিতে ছিলেন এই তরুণ চিকিৎসক।

আনুষ্ঠানিক ভাবে কার্ডে নাম না থাকলেও আমতলার সভায় সুদীপ্ত রায়দের প্রবেশের উপরে বিশেষ নজর রয়েছে শান্তনু শিবিরের। সূত্রের খবর, অনুগামী চিকিৎসকদের নিয়ে স্বাস্থ্য‌শিবিরে যোগ দিতে চেয়ে চিঠি দিয়েছেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান বিধায়ক সুদীপ্ত রায়। এখন‌ও পর্যন্ত সদুত্তর আসেনি বলেই খবর।

শান্তনু সেন ঘনিষ্ঠ চিকিৎসকদের বক্তব্য, এর আগে ডায়মন্ড হারবারসহ নবজোয়ারে স্বাস্থ্য শিবির আয়োজন করে তাঁরা সুশান্ত রায়, অভীক দের কোপে পড়েছিলেন। শনিবারের সভার পর এক‌ই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে অভিষেক পাশে থাকবেন সেই বার্তা পেতেও আগ্রহী শান্তনু সেন ঘনিষ্ঠরা।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, স্বাস্থ্য় ব্যবস্থায় অভিষেকেরডায়মন্ড হারবারমডেল আরও একবার নজির গড়বে। কোভিডের নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রেও ডায়মন্ড হারবার সব জেলার মধ্যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল। চিকিৎসকদের আন্দোলনে যখন গোটা রাজ্য তোলপাড় হয়েছে, তারপর এই ধরনের একটি বৈঠক স্বাভাবিকভাবেই নজির  স্থাপন করবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two − one =