বিগত কয়েক বছরে ইলেকট্রনিক গ্যাজেটের ব্যবহার তুলনামূলক ভাবে অনেকটাই বেড়েছে। আগে ছিল স্মার্ট ফোন এখন তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে স্মার্ট ওয়াচের ব্যবহার। কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চ রিপোর্ট অনুসারে, জুন ত্রৈমাসিকে প্রথমবারের মতো, ভারত চিনকে পেছনে ফেলে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্মার্টওয়াচের বাজারে পরিণত হয়েছে।
গবেষণা সংস্থার কাউন্টারপয়েন্টের তথ্য অনুসারে, জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০২২ ত্রৈমাসিকে বিশ্বব্যাপী স্মার্টওয়াচের বাজারে ভারতের অংশ ৩০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, যা উত্তর আমেরিকার ২৫ শতাংশ এবং চিনের ১৬ শতাংশকেও ছাড়িয়ে গেছে। স্মার্টওয়াচ হল একটি ডিজিটাল ঘড়ি যা আপনার কার্যকলাপ এবং স্বাস্থ্য ট্র্যাক করে। একনকার দিনে লোকেরা বড্ড বেশি মাত্রায় স্বাস্থ্য সচেতন। ফিটনেসের লক্ষ্যে পৌঁছাতে, ক্যালোরি বার্ন দেখতে, হাঁটার পদক্ষেপগুলি গণনা করতে, ব্লাড প্রেশার পরীক্ষা করতে, ঘুমের গভীরতা পরিমাপ করতে, হৃদস্পন্দন মাপা ইত্যাদির জন্য স্মার্ট ঘড়ি ব্যবহার করছেন অনেকেই।
বেশিরভাগ স্মার্টওয়াচে অবশ্যই স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কিছু ফিচার্স রয়েছে, যেখান প্রাপ্ত ডেটা একেবারে সঠিক তথ্য ভেবে মানুষ অন্ধভাবে বিশ্বাস করে । এটা করা অনেক সময় স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এখন প্রশ্ন হল, এই স্মার্ট ওয়াচের ডেটা কতটা বিশ্বাসযোগ্য? এই প্রসঙ্গে বিশেজ্ঞরা জানিয়েছেন, স্মার্টওয়াচকে একটি ছোট কম্পিউটার বলা যেতে পারে যার অনেকগুলি ফাংশন রয়েছে৷ প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জাম হিসেবে স্মার্ট ওয়াচ ব্যবহার করাই যায়।